বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫, ১৩ চৈত্র ১৪৩১
The Daily Ittefaq

আবারও কেরুর চিনিকল চত্বরে বোমা সদৃশ বস্তু, আতঙ্কে কর্মচারীরা

আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৫:৫০

চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় কেরু অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড (চিনিকল) চত্বরে আবারও কালো টেপ মোড়ানো বোমা সদৃশ বস্তু পাওয়া গেছে। পুলিশের ধারণা এটি ককটেল। যা নিয়ে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে কেরু অ্যান্ড কোম্পানি চত্বরে বোমা সদৃশ বস্তুটি পাওয়া যায়।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কেরু অ্যান্ড কোম্পানির জেনারেল অফিস সংলগ্ন ক্লাবের পাশের ঝোড়ের মধ্যে লাল টেপ মোড়ানো একটি বস্তু দেখতে পান কোম্পানির কয়েকজন নিরাপত্তাকর্মী। সেটি বোমা হতে পারে সন্দেহে দ্রুত দর্শনা থানা পুলিশ ও আর্মি ক্যাম্পে খবর দেন তারা। এ নিয়ে দিনব্যাপী আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। বোমা সদৃশ বস্তু সন্দেহে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এটিকে ঘিরে রেখেছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। পরে রাতে ৮টার দিকে রাজশাহী থেকে র‍্যাবের ছয় সদস্যের একটি বোমা নিস্ক্রিয়কারী দল ঘটনাস্থলে এসে ককটেলটি বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটায়।

এদিকে এ ঘটনার ফলে চিনিকলটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এর আগের ঘটনার মামলার তদন্ত এখনো চলমান। ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে পুলিশ শনাক্ত করতে পারেনি।

জানা যায়, শনিবার সকালে কেরু কোম্পানি চত্বরে ছাগল চড়াচ্ছিলেন এক যুবক। তিনি প্রথমে কালো টেপ মড়ানো বোমা সদৃশ বস্তু দেখতে পেয়ে নিরাপত্তাকর্মীদের জানান। তবে প্রায় একই স্থান অর্থাৎ ১০০-২০০ মিটার দূরেই ককটেল পাওয়া গিয়েছিল।  এরপরই পুলিশ, সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। ঘটনাস্থলের আশপাশে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। 

দর্শনা থানা পুলিশের পরিদর্শক মুহম্মদ শহীদ তিতুমীর বলেন, আবারও একই ধরনের কালো টেপ মোড়ানো বোমা সদৃশ বস্তু পাওয়া গেছে। এটাও ককটেল বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ পূর্বের পাওয়া ককটেলের সঙ্গে এটার হুবহু মিল হয়েছে। তবে আজকেরটা কালো টেপ মোড়ানো। রাজশাহী র‍্যাবের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী টিমকে জানানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গতবারের ঘটনায় কেরু কোম্পানি কর্তৃপক্ষ মামলা করেছে। আমরা এ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছি।

এ বিষয়ে কেরু অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আল ফারুক ওমর শরীফ গালিব বলেন, কালো টেপ দিয়ে মোড়ানো বোমাসদৃশ বস্তু মিলের অফিসার কোয়াটারের সামনে রয়েছে। আমরা পুলিশকে জানিয়েছি।

ইত্তেফাক/এমএএস
 
unib