শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫, ১৪ চৈত্র ১৪৩১
The Daily Ittefaq

মিরপুরে টাইগার্স ক্যাম্পে ঘাম ঝরাচ্ছেন লিটন-আফিফরা 

আপডেট : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩:৩৭

গেল কয়েক সিরিজে অফ ফর্মের কারণে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির স্কোয়াডে জায়গা হারিয়েছেন টাইগার উইকেটরক্ষক ব্যাটার লিটন দাস। একই কারণে দলে জায়গা পাননি আফিফ হোসেনও। তবে দলের সঙ্গে না থাকলেও বসে নেই তারা। শান্তরা যখন দুবাইয়ে অনুশীলন করছেন সেই সময় স্কোয়াডে সুযোগ না পাওয়া লিটন কুমার দাস, আফিফ হোসেন, শামীম হোসেনরা নিজেদের প্রস্তুত রাখতে বাংলাদেশ টাইগার্স ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন। এই ক্যাম্পের লক্ষ্য একটাই ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে তাদের ছন্দে ফেরানো। 

গেল কয়েক বছর ধরেই বিসিবি স্কোয়াডের বাইরে থাকা খেলোয়াড়দের প্রস্তুত রাখতে পরিচালনা করে আসছে টাইগার্স ক্যাম্প। সেই ধারাবাহিকতায় মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গতকাল থেকে শুরু হয়েছে এবারের প্রোগ্রাম। আপাতত আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ঢাকাতেই চলবে টাইগার্সের কার্যক্রম। গতকাল অনুশীলন থেকে শেষে ক্যাম্পের তত্ত্বাবধানে থাকা কোচ সোহেল ইসলাম এমনটি জানিয়েছেন। 

রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) লম্বা অনুশীলন শেষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে প্রথম দিনের কার্যক্রম শেষে ক্যাম্পের ধারণা দিয়ে সোহেল বলেন, 'আসলে খুব অল্প সময়ের মধ্য দিয়ে হচ্ছে। যেটা হচ্ছে যে, জাতীয় দলে যারা আছে লাল বল, সাদা বল কিংবা টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে রয়েছে সব মিলিয়ে যে স্কোয়াডটা আর যারা সম্ভাব্য পরিকল্পনায় রয়েছে তাদের নিয়েই টাইগার্সদের এই ক্যাম্পটি হচ্ছে। এটা আমরা আপাতত ২৫ তারিখ পর্যন্ত রাখছি। তার ঢাকা লিগ যদি কোনো কারণে পেছায় তাহলে এটার সময় আরও বাড়াবো।' 

এবারের টাইগার্স ক্যাম্পের মূল চমক লিটন দাস। কেননা গেল কয়েক বছর ধরে ক্যাম্প পরিচালনা হলেও এই উইকেটরক্ষক ব্যাটারকে দেখা যায়নি। আন্তর্জাতিক ব্যস্ততার মধ্যেই থাকতেন তিনি। তবে এবার যেন তার ক্যারিয়ারের গল্পটা ভিন্ন। প্রথম দিনের অনুশীলনে তিনি দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে নিজের ব্যাটিং নিয়ে কাজ করেন।

লিটনকে নিয়ে কোচ সোহেল বলেন, 'লিটনের সঙ্গে এগুলো (সাদা বলের ঘাটতি) নিয়ে কথা হয়েছে। কিছু জিনিস নিয়ে কথা বলছি, কীভাবে আরও স্মুথ করা যায়। এখন সাময়িকভাবে ধুঁকছে। আগে তো স্মুথ ছিল। তাই কিছু জায়গায় আমার মনে হয় অ্যাডজাস্টমেন্ট দরকার আছে। এটা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। সেটা আমরা বের করেছি এবং সেভাবে কাজ করার চেষ্টা করছি।'

ইত্তেফাক/জেডএইচ
 
unib