জুলাই আন্দোলন নিয়ে বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তৈরি ডকুমেন্টারিকে ভারতীয় মিডিয়ার জন্য 'চপেটাঘাত' বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জুলাই আন্দোলন নিয়ে ইন্ডিয়ার মিডিয়া অনেক আজেবাজে কথা লেখে। আমার মনে হয় এই ডকুমেন্টারিগুলো তাদের জন্য চপেটাঘাত।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিক সমিতির (কুবিসাস) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন ও দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
শফিকুল আলম বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ও আন্দোলনকে নিয়ে ডকুমেন্টারি প্রকাশ করেছে। এই আন্দোলনে সবার অংশগ্রহণ আছে। একজন মানবাধিকার কর্মী বলেছে ঢাকার বাইরে কীসের আন্দোলন হয়েছে? এই ডকুমেন্টারিগুলো তার প্রমাণ।
তিনি আরও বলেন, ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা আমরা এখনো বুঝতে পারি নাই। ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা মানেই শোষণের শিকার। আগের সরকার সকল সিকিউরিটি ফোর্স দিয়ে আমাদের অধিকার হরণ করেছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ আলোচক ছিলেন নেত্র নিউজের এডিটর ইন চিফ তাসনিম খলিল। তিনি বলেন, বাংলাদেশে সাংবাদিকতার উর্বর ক্ষেত্র হলো বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। আপনারা অনেকে বিভিন্ন স্থানীয় মিডিয়া বা জাতীয় মিডিয়ায় প্রতিনিধি হিসেবে যুক্ত আছেন। আমার প্রশ্ন, বিশ্বের বিভিন্ন জাতি যেমন, যুক্তরাষ্ট্র বা যুক্তরাজ্যের যেকোনো বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাদের হাত পাকায় ইউনিভার্সিটি পত্রিকায় কাজ করে। বাংলাদেশে এরকম ব্যক্তিগত গণমাধ্যম দেখা যায় না। এখানে একটা বড় গ্যাপ আছে। আপনারা নতুন যারা আসছেন এরকম কিছু করা যায় কিনা দেখবেন। আপনারা স্বাধীন গণমাধ্যম চর্চা নিশ্চিত করবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও কুবিসাসের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, আপনাদের স্বাধীনভাবে সাংবাদিকতা করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনো অন্যায়ের পাশাপাশি ভুলভ্রান্তিও তুলে ধরতে হবে। এমন কি আমার ভুলগুলোও তুলে ধরবেন। আমি এটাই চাই।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলাইমান, কুবিসাসের সাবেক সভাপতি ও আজকের পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার মুহাম্মদ সফিউল্লাহ, দ্য বিজনেস স্টান্ডার্ড এর জাহিদুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলার মাই টিভির প্রতিনিধি আবু মুসা, ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের তানভীর দীপু, সময় টিভির ইসতিয়াক আহমেদ, এসএ টিভির রফিকুল আলম, দৈনিক বাংলা প্রতিনিধি মাহফুজ নান্টু, চ্যানেল আইয়ের জাহিদুল আলম, এখন টিভির খালেদ সাইফুল্লাহ, আমার দেশের প্রতিনিধি এম হাসান, প্রতিদিনের সংবাদের মারুফ আহমেদ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহবায়ক আবদুল্লাহ আল মামুন ও সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান শুভ, শিবির সভাপতি ইউসুফ ইসলাহীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা।