সৌদি আরবের রিয়াদে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে যখন বৈঠক করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া, ঠিক একই সময়ে তুরস্ক সফরে গেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সেখানে দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) এই দুই নেতার মধ্যে বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে তুরস্কের শীর্ষ কর্মকর্তরা উপস্থিত ছিলেন।
গতকাল সোমবার সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে তুরস্কে পৌঁছান জেলেনস্কি। বার্তা আদান–প্রদানের অ্যাপ টেলিগ্রামে তিনি জানান, এরদোয়ানের সঙ্গে আলোচনায় বন্দী বিনিময়সহ অন্যান্য বিষয়ে কথা বলবেন তিনি। আর এরদোয়ানের সহযোগী ফারহেতিন আলতুন বলেছেন, দুই দেশের মধ্যে ‘সহযোগিতা’ আরও জোরদারের লক্ষ্যে এ আলোচনা হবে।
তুরস্ক পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য। রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনকে ড্রোন সরবরাহ করেছে আঙ্কারা। তবে পশ্চিমাদের নেতৃত্বে মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া থেকে দূরে থেকেছে তারা। এছাড়া রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে বন্দী বিনিময়ের ক্ষেত্রে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের পাশাপাশি ভূমিকা রেখেছে তুরস্ক।
এরদোয়ানের সঙ্গে জেলেনস্কির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় রাজধানী আঙ্কারার প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে। এর কয়েক ঘণ্টা আগে সৌদি আরবের রিয়াদে বৈঠক শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়া। যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত ইউক্রেনকে ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার কর্মকর্তারা এই বৈঠকে অংশ নিয়েছেন। এদিকে আজ ক্রেমলিন বলেছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রয়োজন হলে জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছে ক্রেমলিন।
রিয়াদের বৈঠকে দুই পক্ষের নেতৃত্ব দিয়েছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।
বৈঠকে রাশিয়ার পক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী লাভরভ ছাড়াও দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা ইউরি উশাকোভ রয়েছেন। তিনি একসময় যুক্তরাষ্ট্রে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেছেন। আর ৭২ বছর বয়সী সের্গেই লাভরভ দুই দশকের বেশি সময় ধরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রাশিয়ার প্রতিনিধিত্ব করছেন।
অপর দিকে বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ছাড়াও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ উপস্থিত রয়েছেন।
আলোচনার টেবিলে আয়োজক দেশ সৌদি আরবের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল–সৌদ এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মুসায়েদ বিন মোহাম্মদ আল–আইবান।