গত বছরের শেষ চার মাসে ব্যাংক খাতে আমানতের প্রবৃদ্ধি আটকে আছে ৮ শতাংশের নিচে। এর পেছনে উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও তারল্য কমে যাওয়াসহ তিনটি কারণ থাকার কথা বলছেন ব্যাংকাররা। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, ডিসেম্বরে আমানতের প্রবৃদ্ধি আগের মাসের চেয়ে কমে ৭ দশমিক ৪৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ব্যাংক খাতে আমানতের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭ দশমিক ২৬ শতাংশ। অক্টোবরে তা সামান্য বেড়ে হয় ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ। নভেম্বরে আরও বেড়ে ৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল। ডিসেম্বরে তা কমে গিয়েছে।
এর আগে ব্যাংক খাত আমানতের এত কম প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে, সেবার ৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল। গত বছর জুলাই-আগস্টের গণআন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। তার আগে থেকেই ডলার-সংকট, রিজার্ভের পতন, রেমিট্যান্স কমে যাওয়াসহ অর্থনীতিতে নানা সংকট ছিল। সরকার পতনের মাস আগস্টে ব্যাপক সহিংসতা, বিশৃঙ্খলার মধ্যেও ব্যাংক আমানতে ৯ দশমিক ৫০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির তথ্য দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তার আগে ১০ শতাংশের কম প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ২০২৩ সালের অক্টোবরে, ৯ দশমিক ৮০ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ব্যাংক খাতে আমানত দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৭৬ হাজার ৭৫২ কোটি টাকা। ২০২৩ সালের একই সময় তা ১৬ লাখ ৫৩ হাজার ৭৪৪ কোটি টাকা ছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ব্যাংক খাতে আমানতের প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশের ওপর থাকা উচিত। আর বাংলাদেশের মতো দেশে ১২-১৪ শতাংশ হওয়া উচিত।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ব্যাংক খাত নিয়ে একরকম আস্থার অভাব রয়েছে। ৮-৯টি ব্যাংক তারল্য সংকটে ভুগছে। এসব ব্যাংকের গ্রাহক চাহিদা অনুযায়ী টাকা তুলতে পারছে না। এসব ব্যাংকে আমানতও আসছে না।