মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২
The Daily Ittefaq

শিক্ষার্থী নয়, প্রধান শিক্ষক দিচ্ছেন স্কুল ফাঁকি!

আপডেট : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২১:২৭

স্কুলের ছাত্র কিংবা ছাত্রী নয়; স্কুল ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ ‍উঠেছে খোদ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগের পর তদন্তে নেমেছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার  উপজেলার দোহালিয়া ইউনিয়নের বাদে গোরেশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী সাজেদা আক্তারের  বিরুদ্ধে উঠেছে এমন অভিযোগ।

এরই  প্রেক্ষিতে বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১ টায়   উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার দিন মোহাম্মদ সরেজমিনে তদন্ত করেন।এর আগে মঙ্গলবার শতাধিক অভিভাবক ও এলাকাবাসী  স্বাক্ষরিত  একটি লিখিত অভিযোগ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর দায়ের করা হয়।

ওই অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, নানা অজুহাতে মাসের অর্ধেকের বেশি সময় বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকেন প্রধান শিক্ষিক সাজেদা আক্তার। তাছাড়া বিদ্যালয়ের পড়াশোনার খবর রাখেন না তিনি। ফলে ওই স্কুলে দিন দিন কমছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা। বিদ্যালয়ের পাঠদান সকাল ৯টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও শুরু হয় ১০টার পরে। কিন্তু প্রধান শিক্ষিকা আসেন ১১টা  থেকে ১২ টার মধ্যে, তাও দুপুর ২টার পর চলে যান তিনি।

অভিভাবক হাজী আব্দুন নুর অভিযোগ করেন, প্রধান শিক্ষকের অসদাচরণে সবাই অতিষ্ঠ এবং তিনি ইচ্ছেমাফিক স্কুল করেন। সরকার নির্ধারিত সময়ের পরিবর্তে কখনো বেলা ১১টা কিংবা দুপুর ১২টায় স্কুলে আসেন আবার ২ টা না পেরুতেই স্কুল ত্যাগ করে চলে যান। এমন শিক্ষক আমরা চাই না। তাকে দ্রুত বদলি করার দাবি করছি।

সাবেক ইউপি সদস্য নুর উদ্দিন বলেন, বর্তমান প্রধান শিক্ষক যোগদানের শুরু থেকেই বিভিন্ন অনিয়ম করে আসছেন। নিয়মিত স্কুলে আসেন না। তাকে বদলি করা প্রয়োজন।

দোয়ারাবাজার উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার দিন মোহাম্মদ বলেন, এলাকাবাসী প্রধান শিক্ষককে নিয়ে  একটি অভিযোগ করেছেন। তার প্রেক্ষিতে সরেজমিনে এসে তাদের কথা শুনি। তারা দাবি করেন, এই প্রধান শিক্ষককে বদলি করতে হবে। দাবির ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন  কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত প্রতিবেদন পাঠাবো।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বাদে গোরেশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী সাজেদা আক্তার বলেন, আমি যোগদানের সময় থেকেই সুন্দর করে বিদ্যালয় পরিচালনা করে আসছি। এমন অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে অহেতুক তোলা হয়েছে। তারপরও আমার ভুল হয়ে থাকলে  সবার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। আমার  কোনো ভুল থাকলে সেটা সংশোধন করার চেষ্টা করবো।

ইত্তেফাক/এপি