বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫, ১৩ চৈত্র ১৪৩১
The Daily Ittefaq

কাশ্মীরে ইসলামী পণ্ডিতের বই জব্দ করেছে ভারতের পুলিশ

আপডেট : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২১:৩৯

বিতর্কিত কাশ্মীর ভূখণ্ডে বেশ কয়েকটি বইয়ের দোকানে অভিযান চালিয়েছে ভারতের পুলিশ। এ সময় একজন ইসলামিক পণ্ডিতের শত শত কপি বই জব্দ করেছে তারা। এতে মুসলিম নেতাদের মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

ভারতের পুলিশ দাবি করেছে, নিষিদ্ধ সংগঠনের মতাদর্শ প্রচার করে গোপনে বিক্রি ও বিতরণের বিষয়ে বিশ্বাসযোগ্য গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তল্লাশি চালানো হয়েছে।

কর্মকর্তারা লেখকের নাম প্রকাশ না করলেও দোকান মালিকরা বলছেন, পাকিস্তানের তারা ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা মরহুম আবুল আলা মওদূদীর লেখা বই জব্দ করেছে।

১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিভক্ত হয়ে পড়েছে কাশ্মীর। উভয়ই হিমালয় অঞ্চলের পুরো অংশ দাবি করে।

কাশ্মীরের স্বাধীনতা বা পাকিস্তানের সঙ্গে একীভূত হওয়ার দাবিতে বহু বিদ্রোহী গোষ্ঠী কয়েক দশক ধরে ভারতীয় বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করছে। এই সংঘর্ষে কয়েক হাজার লোক নিহত হয়েছে।

আরব নিউজের প্রতিবেদন বলছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হিন্দু-জাতীয়তাবাদী সরকার ২০১৯ সালে জামায়াতে ইসলামীর কাশ্মীর শাখাকে 'বেআইনি সংগঠন' হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।

মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলটির অন্যান্য শহরে বই জব্দ শুরু করার আগে সাদা পোশাকের কর্মকর্তারা শ্রীনগরের প্রধান শহরে অভিযান শুরু করে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শ্রীনগরের এক বইয়ের দোকানের মালিক এএফপিকে বলেন, পুলিশ এসে আবুল আলা মওদুদীর লেখা সব বইয়ের কপি নিয়ে গেছে।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ভিন্নমত দমন ও স্থানীয় জনগণকে ভয় দেখানোর ভারতের ধারাবাহিক পদক্ষেপের সর্বশেষ পদক্ষেপ এটি।

কাশ্মীরের প্রধান ধর্মীয় নেতা এবং আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের পক্ষে থাকা বিশিষ্ট নেতা উমর ফারুক পুলিশি পদক্ষেপের নিন্দা করেছেন। তিনি বলেন, ইসলামি সাহিত্যের ওপর দমন-পীড়ন এবং দোকান থেকে বই জব্দ করা হাস্যকর। ভার্চুয়াল দুনিয়ায় সব তথ্য পাওয়ার এই যুগে বই জব্দ করা অযৌক্তিক।

সমালোচক ও কাশ্মীরের অনেক বাসিন্দা বলছেন, ২০১৯ সালে মোদি সরকার সাংবিধানিকভাবে প্রদত্ত কাশ্মীরের আংশিক স্বায়ত্তশাসন বাতিল করে সরাসরি শাসন জারি করার পর নাগরিক স্বাধীনতা মারাত্মকভাবে খর্ব হয়েছে।

ইত্তেফাক/এসকে
 
unib