ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের স্থাপত্য বিভাগ ও আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ ঢাকার যৌথ আয়োজনে আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকার লা গ্যালারিতে চলছে ‘পুরান ঢাকা—আখ্যান, রোমন্থন, আগামী ঐতিহ্যের সন্ধানে পুরান ঢাকার অলিগলিতে’ শীর্ষক প্রদর্শনী। এর উদ্বোধন হয়েছে ২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টায়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউএপি ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপার্সন স্থপতি মাহবুবা হক, উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান, স্থাপত্য অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবু সায়ীদ এম আহমেদ, স্থাপত্য বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. নওরোজ ফাতেমী, আঁলিয়স ফ্রঁসেজ ঢাকার পরিচালক ফ্রঁসোয়া ঘ্রোজ, স্থপতি বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, প্রমুখ।
এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান তার বক্তব্যে বলেন, ক্রমবর্ধমান ঘনবসতির তাগিদে ঢাকাই স্থাপত্য আর ঐতিহ্যের নিদর্শনের অনেকই ইদানীং হারিয়ে যাওয়ার মুখে, এ প্রজন্মের কাছে ঢাকার সে প্রাচীন গৌরবগাথা যেন নিছক রূপকথা হয়ে না দাঁড়ায়, সে তাগিদেই এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগ কাজ করার প্রচেষ্টা করছে জন্মলগ্ন থেকেই।
স্থাপত্য অনুষদের ডিন ড. আবু সায়ীদ এম আহমেদ বলেন, আমরা আমাদের ছাত্রদেরকে নিয়ে এই প্রথম পুরো পুরান ঢাকার মডেল তৈরী করেছি। পুরান ঢাকার সকল ঐতিহ্য এই মডেলের মধ্যে আছে। পুরান ঢাকাকে আমরা কিভাবে আদি রূপে ফেরত আনতে পারি, তার রূপরেখা এই মডেলে দেয়া আছে।
আঁলিয়স ফ্রঁসেজ ঢাকার পরিচালক ফ্রঁসোয়া ঘ্রোজ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে ইউএপির সাথে আঁলিয়স ফ্রঁসেজের সম্পর্কেও শুরু হওলা। এর মাধ্যমে সাংস্কৃতিক বিনিময়ের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে এবং দুটি প্রতিষ্ঠানের মাঝে সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবে।
উল্লেখ্য, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের স্থাপত্য বিভাগের একদল শিক্ষার্থী বছরজুড়ে প্রথিতযশা স্থপতি ও বাংলাদেশের স্থাপত্য ঐতিহ্য এবং সংরক্ষণ-এর পুরোধা, ই্উএপি স্থাপত্য অনুষদের ডিন ড. আবু সায়ীদ এম আহমেদের নেতৃত্বে ঘুরে বেড়িয়েছে পুরান ঢাকার অলিগলিতে, অনুসন্ধানী চোখে খুঁজে বের করেছে ইতিহাসের অতল গহ্বরে হারিয়ে যেতে বসা স্থাপত্য ঐতিহ্যের অনুষঙ্গদের। সুচারু অনুসন্ধানে উঠে এসেছে কেবল স্থাপত্য নয়, আনুষঙ্গিক লোকালয়ের জীবনযাপন রীতি, পেশা, সুবিধা-অসুবিধার সবিস্তার বিবরণ। এ কার্যক্রমে পুরান ঢাকার প্রধানতম ছয়টি হেরিটেজ ট্রেইল নির্ধারণ করা হয়, যে পথ ধরে পর্যটকরা নতুনভাবে অনুধাবন করবে পুরান ঢাকার ইতিহাস আর ঐতিহ্যকে, যা সঙ্গে সঙ্গে স্থাপত্য ঐতিহ্যভিত্তিক পর্যটনকে কেন্দ্র করে নতুনভাবে বিকশিত হবে এ এলাকার মানুষের ব্যবসায়িক আর পেশাগত কর্মপরিধি। স্থাপত্যের ছাত্রছাত্রীদের সুচিন্তিত আর অনুসন্ধানভিত্তিক এ কর্মযজ্ঞই উঠে আসবে এবারের প্রদর্শনীতে।
প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত। চলবে প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।