শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
The Daily Ittefaq

দুই মাসেও ফুল সেট বই পায়নি শিক্ষার্থীরা

আপডেট : ০৪ মার্চ ২০২৫, ১২:০৯

বছরের তৃতীয় মাসে পা দিলেও এখনও অনেক শিক্ষার্থীর হাতে পুরো বই পৌঁছেনি। কেউ পেয়েছে দু-একটি বই, আবার কেউ পেয়েছে তিনটি পর্যন্ত। ফুল সেট বই না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে জোড়াতালি দিয়ে চলছে শিক্ষাকার্যক্রম।  

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) জানিয়েছে, বাঁধাই মেশিনের সংকট ও শ্রমিকদের নোট-গাইড বাঁধাইয়ের কাজে বেশি মনোযোগী হওয়ায় পাঠ্যবই বিতরণে দেরি হচ্ছে। তবে মুদ্রণ শিল্প সমিতি বলছে, কিছু বইয়ের টেন্ডারে বিলম্ব হওয়ায় ছাপার কাজ এখনও শেষ হয়নি।   

সিলেটের কাকরদিয়া তেরাদল উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এখনও পর্যন্ত পেয়েছে শুধু বাংলা ও ইংরেজি বই। অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছেছে বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বই।  

এক শিক্ষার্থী জানায়, 'মোবাইল বা ল্যাপটপে পিডিএফ পড়তে পারি না সবসময়। এতে চোখের সমস্যা হয়। তাছাড়া সবার বাসায় ইন্টারনেটও থাকে না।'  

আরেক শিক্ষার্থী বলে, 'আমরা মাত্র দুটি বই পেয়েছি, বাংলা আর ইংরেজি। অন্য বইগুলো কবে পাব জানি না।'  

এক শিক্ষক বলেন, 'অষ্টম ও নবম শ্রেণির বই এখনও হাতে পাইনি। এতে শিক্ষার্থীদের বড় ধরনের ক্ষতি হচ্ছে।'   

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. একেএম রিয়াজুল হাসান দাবি করেন, 'অধিকাংশ শিক্ষার্থীর কাছেই ৯০ শতাংশের বেশি বই পৌঁছে গেছে। তবে বাঁধাই করতে কিছুটা সময় লাগতে পারে।'  

ছাপাখানা পরিদর্শনে দেখা গেছে, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বই বাঁধাইয়ের অপেক্ষায় স্তূপ আকারে পড়ে রয়েছে।
  
এনসিটিবি চেয়ারম্যান বলেন, 'নোট ও গাইড বইয়ের বাঁধাইয়ে বেশি মজুরি থাকায় শ্রমিকরা সেদিকে ঝুঁকেছে। ফলে পাঠ্যবইয়ের বাঁধাইয়ে দেরি হচ্ছে।'  

বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি জুনায়েদ আল মাহফুজ বলেন, 'কিছু বইয়ের টেন্ডার শেষের দিকে হওয়ায় কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বই পৌঁছাতে দেরি হচ্ছে। তবে কাগজের কোনো স্বল্পতা নেই। দ্রুত সময়ের মধ্যে বই প্রস্তুত করে বিতরণ শেষ করার চেষ্টা চলছে।'  

প্রেস মালিকরা জানিয়েছেন, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই বই বিতরণের কাজ শেষ করার লক্ষ্যে তারা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

ইত্তেফাক/টিএইচ