রাজশাহীতে টানা দুই দিন মৃদু তাপদাহের পর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। এতে কমেছে তাপমাত্রা, স্বস্তি ফিরেছে জনমনে। বৃষ্টিতে ধুয়েমুছে গেছে গাছপালায় লেগে থাকা ধুলাবালু। বৃষ্টির পরিমাণ অল্প হলেও আমের জন্য ভালো হবে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রাজশাহীতে গতকাল রোববার এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। এর আগের দিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পরিমাপ করা হয় ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত বৃষ্টির পর আজ দুপুর ১২টার দিকে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সোমবার সকাল থেকে আকাশ মেঘলা ছিল।
রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে সহকারী পর্যবেক্ষক আনোয়ারা খাতুন বলেন, দুই দিন ধরে রাজশাহীতে মৃদু তাপপ্রবাহ চলেছে। আজকের বৃষ্টি পরিমাপ করা না গেলেও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। এই বৃষ্টি তাপমাত্রা কমিয়ে স্বস্তি এনেছে। তবে মেঘলা আকাশ কেটে গিয়ে রোদ উঠে যাবে।
এই বৃষ্টিতে রাস্তাঘাট, গাছপালার ধুলাবালু ধুয়েমুছে গেছে। রাজশাহীতে আমের জন্য এই সামান্য বৃষ্টি ভালো লক্ষণ বলেও জানিয়েছেন কৃষকেরা। রাজশাহীর পুঠিয়ার মাহবুব আলম প্রায় ১০ বিঘা জমিতে আম চাষ করেছেন। এখন তাঁর বাগানে আমের মুকুল থেকে গুটি হয়ে গেছে। তিনি বলেন, আজ সকালের বৃষ্টিতে আমের পাতায় ও আমের গুটিতে থাকা ধুলাবালু ধুয়ে গেছে। এই বৃষ্টি আমের জন্য ভালো। আম ঝরা কমবে।
নগরের চৌদ্দপায় এলাকায় বৃষ্টি দেখে রিকশার মাথায় পলিথিন বাঁধছিলেন রায়হান আলী। তিনি বলেন, রিকশার এই অংশ যেন না ভিজে, তাই পলিথিন বেঁধে দিচ্ছেন। একই এলাকায় কয়েকজনকে ছাতা নিয়ে বের হতে দেখা গেছে।
নগরের কুমারপাড়া এলাকায় ব্যবসায়ী রমজান আলী বলেন, গত দুই দিন কী পরিমাণ যে গরম ছিল। আজ বৃষ্টি না হলে পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে পড়তো। এই বৃষ্টি দুর্ভোগের নয়, স্বস্তির।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক উম্মে ছালমা বলেন, আজকের বৃষ্টি আমের জন্য খুবই ভালো হয়েছে। এতে আমের গুটির বোঁটা শক্ত হবে। আম ঝরা কমে যাবে। এই মুহূর্তে এই বৃষ্টি দরকার ছিল।