২৯ বছর পর আইসিসি ইভেন্টের আয়োজক হয়েছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। সদ্য শেষ হওয়া চ্যাম্পিয়নস ট্রফি হাইব্রিড মডেলে অনুষ্ঠিত হলেও আয়োজক ছিল পাকিস্তান। তবে এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করে বড় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে পিসিবি।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজনে লাহোর, করাচি ও রাওয়ালপিন্ডির স্টেডিয়াম সংস্কার করেছিল দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। এই সংস্কারে বাজেটের তুলনায় অনেক বেশি অর্থ খরচ হয়। গ্রুপ পর্বে নিজেদের মাটিতে দু’টি ম্যাচ ছিল পাকিস্তানের। করাচিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে রাওয়ালপিন্ডিতে ম্যাচ ছিল মোহাম্মদ রিজওয়ানের দলের। দেশের মাটিতে দুটি ম্যাচের মধ্যে বাংলাদেশ ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেস্তে যায়। ফলে আয়োজক দেশ নিজেদের ঘরে মাত্র একটি ম্যাচ খেলেছে। তবে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি হয় দুবাই স্টেডিয়ামে।
আয়োজক দেশ পাকিস্তান বিদায় নেয় গ্রুপ পর্ব থেকে। ফলে পাকিস্তানের দর্শক এই প্রতিযোগিতা থেকে আগ্রহ হারিয়েছে। পরের ম্যাচগুলিতে মাঠ ফাঁকা ছিল। টিকিটের চাহিদা ছিল-না বললেই চলে। ফলে স্পন্সররা মুখ ফিরিয়ে নেয়। চতুর্দিকে থেকে মুখ থুবড়ে পরে আয়োজক এই দেশটি। ধারণা করা হচ্ছে ৮৬৯ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে পিসিবির।
এর প্রভাব পড়েছে ঘরোয়া ক্রিকেটে। আসন্ন জাতীয় টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতায় ক্রিকেটারদের বেতন ৯০ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। আগে ক্রিকেটাররা বিলাসবহুল হোটেলে থাকতেন। কিন্তু এবার তাদের জন্য সাধারণ মানের হোটেল ভাড়া নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
পাকিস্তানের এক সংবাদপত্র জানিয়েছে, জাতীয় টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতায় আগে প্রতিটি ম্যাচের জন্য ক্রিকেটাররা ৪০ হাজার টাকা করে পেতেন। সেটা কমে ১০ হাজার টাকা করা হয়েছে। ঘরোয়া লাল বলের প্রতিযোগিতাতেও আগে ম্যাচ পিছু ৪০ হাজার টাকা করে দেওয়া হতো। এবার থেকে দেওয়া হবে ৩০ হাজার টাকা। যদিও এই বিষয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এখনও কিছু জানায়নি।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা