শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২
The Daily Ittefaq

হিমাগারের অভাবে ক্ষতির মুখে ফুলবাড়ীর কৃষকেরা

আপডেট : ১৯ মার্চ ২০২৫, ১৫:১৩

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলায় বিপুল শাক-সবজির উৎপাদন হলেও নেই সংরক্ষণের হিমাগার। এসব ফসল পঁচনের ভয়ে লোকসান দিয়ে দ্রুত বিক্রি করে দিচ্ছেন কৃষকরা।

কৃষকরা জানান, এখন টমেটোর চাষের বাজারজাত করণের শেষ সময় চলছে। এখন দাম ভালো পাওয়া যাচ্ছে না। কিছুদিন পরই এর দাম প্রতিকেজি বেড়ে দাঁড়াবে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। কিন্তু সংরক্ষণের অভাবে সেই লাভ আর পাওয়া হবে না।

সবজি চাষি পরীক্ষিত চন্দ্র রায় ও মনোরঞ্জন রায় বলেন, স্থানীয় বেপারীরা ফুলবাড়ীর পাইকারি সবজি বাজার থেকে কম দামে কৃষকের শস্য কিনে ট্রাকে করে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে বেশি দামে বিক্রি করছেন। এতে স্থানীয় কৃষকরা লাভবান না হলেও লাভবান হচ্ছে ওইসব  বেপারীরা। শাক-সবজি সংরক্ষণের জন্য একটি হিমাগার স্থাপন করা হলে কৃষকরা উৎপাদিত শাক-সবজি সংরক্ষণ করে লাভবান হতো।   

সবজি বাজারের আড়ৎদার অজয় দত্ত ও মিহির দত্ত বলেন, গত একমাস ধরে আড়তে টমেটো বিক্রি হচ্ছে প্রকার ভেদে কেজি ৭ থেকে ৮ টাকায়। গত সপ্তাহ থেকে বিক্রি হচ্ছে ৫ থেকে ৭ টাকায়। দাম কম থাকায় কৃষকরা ক্ষেতের টমেটো তুলতে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছেন। 

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তর সূত্রে জানা যায়, এই উপজেলায় সাতটি ইউনিয়নে শীতকালীন শাক-সবজি এক হাজার ৭৫০ হেক্টর এবং গ্রীষ্মকালীন শাক-সবজি ৮৪০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ করেছে। এরমধ্যে ১০৮ হেক্টর জমিতে টমেটো, ৩৮ হেক্টরে শসা এবং ২০ হেক্টর জমিতে খিরা চাষাবাদ হয়েছে।  

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রুম্মান আক্তার বলেন, এটি একটি পচনশীল ফসল, তাছাড়া এখন অন্যান্য সবজিও বাজারে থাকায় এবং এবছর উৎপাদন বেশি হওয়ায় কৃষকরা তেমন দাম পাচ্ছে না। তবে যারা আগাম টমেটো চাষ করেছেন তারা আশানুরূপ লাভ করেছেন। তবে ফুলবাড়ীতে হিমাগার স্থাপন করা গেলে শুধুমাত্র ফুলবাড়ী নয়, এ অঞ্চলের অন্যান্য উপজেলার কৃষকরাও এর সুফল ভোগ করতে পারবেন।

ইত্তেফাক/এমআর/এএইচপি