রোববার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২
The Daily Ittefaq

বৈষম্যমূলক ড্যাপ বাতিল ও ইমারত বিধিমালা ২০২৫ বাস্তবায়নের দাবিতে রিহ্যাবের মানববন্ধন

আপডেট : ১৯ মার্চ ২০২৫, ১৫:৪৫

বৈষম্যমূলক ড্যাপ বাতিল ও ইমারত বিধিমালা ২০২৫ বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন করেছে রিয়েল এস্টেট এ্যান্ড হাউজিং এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)। রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট মো. ওয়াহিদুজ্জামানের নেতৃত্বে ঢাকা শহরের বিভিন্ন ডেভেলপার কোম্পানির প্রতিনিধি এবং জমির মালিকরা এই মানববন্ধনে অংশ নেন। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় রিহ্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট ইঞ্জি. আব্দুল লতিফ, রিহ্যাব পরিচালক ও প্রেস এন্ড মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান মুহাম্মদ লাবিব বিল্লাহ্, রিহ্যাব পরিচালক এ. এফ. এম. উবায়দুল্লাহ, ড. হারুন অর রশিদ, মো. আউয়ুব আলী, দেওয়ান নাসিরুল হক, লায়ন সুরুজ সরদার, মিরাজ মুক্তাদির, শেখ কামালসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

কিশোর গ্যাং বন্ধুদের নিয়ে বাবার ওপর ছেলের হামলাকিশোর গ্যাং বন্ধুদের নিয়ে বাবার ওপর ছেলের হামলা
দ্রুত সময়ের মধ্যে ইমারত বিধিমালা ২০২৫ বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট মো. ওয়াহিদুজ্জামানের বলেন, পতিত সরকারের কতিপয় দোসরদের প্রেসক্রিপশনে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে পাশকাটিয়ে এলজিআরডি মন্ত্রনালয়ের তত্বাবধানে তড়িঘরি করে দেশের স্বার্থবিরোধী বেআইনি ড্যাপ ২০২২-২০৩৫ প্রকাশ করা হয় এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে কেড়ে নেওয়া হয় ঢাকা মহাগরের ভবন নির্মাণের অধিকার। সৃষ্টি করা হয় নগরবাসীর মধ্যে ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে চরম বৈষম্য। যাহার ফলে কৃষি জমি ও বন্যা প্রবাহ এলাকা দ্রুত গতিতে হ্রাস পাচ্ছে। 

তিনি বলেন, এই বৈষম্যমূলক ড্যাপের জন্য এখনও পতিত স্বৈরাচারি সরকারের সুবিধাবাদি কয়েকজন নগর পরিকল্পনাবিদ মায়া কান্না করে বেড়াচ্ছে নিজস্ব স্বার্থ হাছিলের জন্য। তারা একটি মহলের হয়ে ঢাকা থেকে নাগরিকদের বের করে দিতে চাচ্ছে। আবাসন খাত ধ্বংস হলে বহু শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধ হবে এবং বহু লোক বেকার হবে। ড্যাপের কারনে নির্মাণ খাত ইতিমধ্যেই ব্যাপক্ষ ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে। সরকারের রাজস্ব আয় উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাচ্ছে, বেকারত্বের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে, লিংকেজ প্রতিষ্ঠানগুলো স্থবির হয়ে যাচ্ছে। তাই এই বেআইনি ড্যাপ অতি দ্রুত বাতিল করে জনবান্ধব নতুন ড্যাপ প্রনয়নের জন্য দাবি জানান রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট।

রিহ্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট ইঞ্জি. আব্দুল লতিফ বলেন, আমরা অনেক দিন হলো শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি। আমাদের দাবি দ্রুত সময়ের মধ্যে না মানলে আরো কঠোর কর্মসূচী চালিয়ে যাবো। 

মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান লাবিব বিল্লাহ বলেন, ফার কমিয়ে দেওয়ার ফলে ভূমি মালিকগণ ভবন নির্মাণে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন। ফলশ্রুতিতে পাড়া-মহল্লার রাস্তা-ঘাটগুলো অপ্রসস্থই থেকে যাচ্ছে এবং ফাঁকা জায়গাগুলো/সেমিপাকা জায়গাগুলো/পুরাতন জরাজীর্ন ভবনগুলো অস্থাস্থ্যকরই থেকে যাচ্ছে, যেখানে মাধক সেবক এবং অবৈধ কার্যকলাপ সহ বহুরকমের পরিবেশ বিপর্যয়কর কার্য সম্পাদিত হয়। এক কথায় ঢাকা শহরের ৮০ শতাংশ এরিয়াকে অপরিকল্পিত রেখে নগরবাসীকে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন পরিবেশের বিপর্যয় হবে অন্যদিকে নগরবাসীগন আবাসনের মতো মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন।

ইত্তেফাক/এনএন