মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২
The Daily Ittefaq

তিউনিসিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত করলেন প্রেসিডেন্ট

আপডেট : ২১ মার্চ ২০২৫, ২০:২২

তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদ বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) রাতে প্রধানমন্ত্রী কামেল মাদৌরিকে বরখাস্ত করেছেন। তার কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক স্থবিরতার প্রেক্ষাপটে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

সরকারি ঘোষণায় বলা হয়েছে, গত বছরের আগস্ট মাসে মন্ত্রিসভায় বড় ধরনের রদবদল করার সময় নিযুক্ত টেকনোক্র্যাট মাদৌরির স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন পূর্বের গণপূর্তমন্ত্রী সারা জাফরানি জেনজরি।

মন্থর প্রবৃদ্ধি ও উচ্চ বেকারত্বসহ গুরুতর আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত ব্যাপক ঋণগ্রস্ত তিউনিসিয়ার মন্ত্রীদের কর্মক্ষমতা নিয়ে সাম্প্রতিক অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন সাঈদ।

মন্ত্রী ও বিচারকদের বরখাস্ত করার পূর্ণ ক্ষমতা থাকা প্রেসিডেন্ট ২০২৪ সালের আগস্টে মাদৌরিকে প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করেন। সেই সময় তিনি আরও ১৯ জন মন্ত্রীকে রদবদল করেন। ‘রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ স্বার্থ’ এবং ‘জাতীয় নিরাপত্তার’ প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

ফেব্রুয়ারিতে তিনি অর্থমন্ত্রী সিহেম বোঘদিরি নেমসিয়াকে বরখাস্ত করেন। ম্যাজিস্ট্রেট মিচেট স্লামা খালদি তার স্থলাভিষিক্ত হন।

সাইদ ২০১৯ সালে প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তিনি ২০২১ সালে এক বিশাল ক্ষমতা দখলের ঘটনা ঘটিয়েছিলেন, যা সমালোচকদের মতে গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা এবং অধিকার হরণ করেছিল। তবে সাইদের সমর্থকরা বলেছেন, তিনি কয়েক দশক ধরে দুর্নীতিতে জর্জরিত দেশটির অদক্ষতার বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রতিশ্রুতি পালন করেছেন।

১ কোটি ২০ লক্ষাধিক জনসংখ্যার উত্তর আফ্রিকার দেশটি দুধ, চিনি ও আটার মতো মৌলিক জিনিষের বিক্ষিপ্ত ঘাটতি ও উচ্চ বেকারত্ব সমস্যায় ভুগছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) জানায়, ২০২৫ সালে তিউনিসিয়ার বার্ষিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মাত্র ১.৬ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ঋণের পরিমাণ জিডিপির প্রায় ৮০ শতাংশ, যা ২০১৯ সালে সাইদ ক্ষমতা গ্রহণের আগে ছিল ৬৭ শতাংশ।

ইত্তেফাক/এসকে