দুবাইয়ের আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ভারত-নিউজিল্যান্ডের ফাইনাল দিয়ে পর্দা নামে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির নবম আসর। এ আসর হাইব্রিড মডেলে হওয়ায় ম্যাচগুলোতে গ্যালারিতে দর্শক উপস্থিতি ছিল না বললেই চলে। তবে সকল খেলায় টিভিতে ও অনলাইনে ছিল রেকর্ড দর্শক।
এমনকি ভারতের অতিরিক্ত ২৩ শতাংশ মানুষ এর আগের ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের চেয়ে বেশি দেখেছে এবারের টুর্নামেন্ট। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সবমিলিয়ে ২৫০ বিলিয়ন মিনিট টিভিতে দেখেছে দর্শকরা। এর মধ্যে ভারতীয় ক্রীড়া চ্যানেল স্টার স্পোর্টসেরই ১৩৭ বিলিয়ন মিনিট এবং জিওহটস্টারে দেখেছে ১১০ বিলিয়ন মিনিট। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি ম্যাচ দেখার চাহিদা ছিল তুঙ্গে। বিশেষ করে ৯ মার্চ দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত হওয়া ভারত-নিউজিল্যান্ডের ফাইনাল বহু মানুষ দেখেছে।
এই দিনে টিভিতে ফাইনাল ম্যাচটির ভিউয়ারশিপ ছুঁয়েছিল ১২২ মিলিয়ন, আর জিওহটস্টারে দেখা হয় ৬১ মিলিয়নবার। আইসিসি এটিকে ক্রিকেটের ডিজিটাল ভিউয়ারশিপের নতুন মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করেছে। বিশ্বকাপ ছাড়া, চ্যাম্পিয়নস ট্রফির এই ফাইনাল ম্যাচটি ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে টিভিতে দেখা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ম্যাচ। সেই সময় মোট ২৩০ মিলিয়ন দর্শক খেলা উপভোগ করে, আর টিভি ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম মিলিয়ে ম্যাচটি দেখার মোট সময় ছিল ৫৩ বিলিয়ন মিনিট।
এ ছাড়া গ্রুপ পর্বের ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচটিতে আলাদা এক নজর ছিল দর্শকদের। এই ম্যাচেই ভারতের দর্শকদের ভিউ ছিল দেখার মত। এমনকি ভারত এটি অন্য ম্যাচ গুলোর থেকে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ভিউ ছিল ম্যাচটিতে। এই ম্যাচ টিভিতে ২৬ বিলিয়ন মিনিট ভিউ হয়। যা আগের ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপকেও পেছনে ফেলেছে। ওই ম্যাচে ভিউআরশিপ ছিল ১৯.৫ বিলিয়ন মিনিট। সব মিলিয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালের কল্যাণে টেলিভিশন রেটিং ১০.৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যেখানে ২০৬ মিলিয়ন দর্শক সরাসরি টিভিতে খেলা উপভোগ করেছেন।
টেলিভিশনের এই উচ্চ রেটিংয়ে সন্তুষ্ট আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ। তিনি বলেন, ‘আট বছর চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রত্যাবর্তনটা অসাধারণ হয়েছে এবং ভারতে ভিউআরশিপের সংখ্যা ছিল অপ্রতিরোধ্য। বিশেষ করে ভারত-নিউজিল্যান্ডের ফাইনাল ম্যাচ। ভারতে ক্রিকেটের আবেদনটা কত বেশি সেটাই প্রমাণ হয়েছে এই রেকর্ড ভিউআরশিপে। আইসিসি ইভেন্ট বিভিন্ন ভাষাভাষি মানুষদের দারুণভাবে সংযুক্ত করেছে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মার্কেটিং কৌশলও অসাধারণ, বিদ্যমান মানুষের মাঝে রোমাঞ্চ তো ছড়াচ্ছেই, তেরি করছে নতুন ফ্যানবেজও।’