বাংলাদেশের বৃহত্তম ফার্মাসিস্ট সংগঠন বাংলাদেশ ফার্মাসিস্টস ফোরামের (বিপিএফ) আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২২ মার্চ) রাজধানীর বাংলামোটরে ওয়াটারফল রেস্তোরাঁ ও কনভেনশন হলে এ ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মো. আজিবুর রহমান এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান তানভীর। আলোচনায় বক্তারা দেশের ঔষধ শিল্প ও স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে ফার্মাসিস্টদের অবদানের কথা তুলে ধরেন। পাশাপাশি, দ্রুত হাসপাতাল ফার্মেসি, ক্লিনিক্যাল ফার্মেসি ও কমিউনিটি ফার্মেসি চালুর দাবি জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বায়োফার্মা লিমিটেডের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর সাইফুল আমিন, গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. মোকলেছুর রহমান সরকার ও প্রবীণ ফার্মাসিস্ট বেলায়েত হোসেন। এছাড়া, বিভিন্ন ওষুধ ও স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ এবং সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, WHO গাইডলাইন অনুসরণ করে ফার্মাসিস্টদের যথাযথ প্রশিক্ষণ ও নিয়োগ নিশ্চিত করলে দেশের স্বাস্থ্য খাত আরও সুসংগঠিত হবে। বাংলাদেশ ঔষধ ও কসমেটিকস আইন, ২০২৩ কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে ফার্মাসিস্টদের ভূমিকা আরও কার্যকর করার প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হয়।
সভায় জানানো হয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আওতায় সাম্প্রতিক সময়ে ১০ জন গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্ট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ফার্মাসিস্টদের কাজ শুধু ওষুধ সরবরাহ করা নয়, বরং আধুনিক চিকিৎসাব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হিসেবে রোগীদের নিরাপদ ও কার্যকর ওষুধ ব্যবহারে সহায়তা করাই তাদের মূল লক্ষ্য।
বক্তারা আরও বলেন, উন্নত বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্টদের মাধ্যমে ওষুধ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে, যাতে জনগণ আরও উন্নতমানের স্বাস্থ্যসেবা পায়।
ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভাটি দেশবরেণ্য ফার্মাসিস্টদের মিলনমেলায় পরিণত হয়, যেখানে ফার্মাসিস্টদের পেশাগত উন্নয়ন ও স্বাস্থ্যখাতে তাদের ভূমিকা আরও সুসংহত করার বিষয়ে আলোচনা করা হয়।