শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২
The Daily Ittefaq

ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্যাতনের শিকার পরিবারের সন্মানে দোয়া ও ইফতার

আপডেট : ২৪ মার্চ ২০২৫, ১৯:১৪

ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার কর্তৃক খুন,গুম ও কারা নির্যাতনের শিকার পরিবারের সম্মানে দোয়া ও  ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (২৩ মার্চ) যায়যায়দিন মিডিয়াপ্লেক্সের ‘খালেদা জিয়া’ হলে এ অনুষ্ঠান আয়োজন হয়। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সম্পাদক শফিক রেহমান বলেন, জুলাই বিপ্লবে যারা আহত ও শহীদ হয়েছে এবং গুম, খুণের শিকার ও কারাভোগ করেছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। আন্দোলনে আহত হয়ে যারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাদেরকেও শ্রদ্ধা জানালাম। যারা চলে গেছেন, তারা আর কখনো ফিরে আসবে না। তাদের কথা প্রতি বছর স্মরণ করতে হবে। 

তিনি আরও বলেন, যারা ১৭ বছর পর আমাদের অফিসে ফিরে আসতে সাহায্য করেছেন তাদের অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আজকের অনুষ্ঠানটি একটি ঐতিহাসিক অনুষ্ঠান। ১৭ বছর পর এই ভবনে প্রথম অনুষ্ঠান হচ্ছে এটি। এর আগে আমি এমন অনুষ্ঠান করার সুযোগ পায়নি। আমার জীবন থেকে ১৭ বছর চুরি হয়ে গেছে।

কথা বলছেন যায়যায়দিন পত্রিকার সম্পাদক শফিক রেহমান

চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের সাবেক ডীন অধ্যাপক ড. আহমেদ জামাল আনোয়ার বলেন, স্বাধীনতা আমরা পেয়েছি, আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। ব্রাক্ষণবাড়িয়া -৫(নবীনগর) আসনের বিএনপির প্রার্থী হিসেবে চাই। তিনি বিএনপি সরকারে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে পারবেন।
 

শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম আনিসুল হক বলেন, আমি আশা করি আপনারা পাপ্পুর সঙ্গে কাজ করবেন, সহযোগীতা করবেন। কিছুদিন পর জাতীয় নির্বাচন হবে,পাপ্পু সংসদে আইন সংক্রান্ত ব্যাপারে বিশ্লেষন যেন করতে পারে এবং বিএনপি সরকারকে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখার সুযোগ করে দিতে পারে।

কথা বলছেন অ্যাডভোকেট রাজিব আহসান চৌধূরী পাপ্পু

অনুষ্ঠানে সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা ও ব্রাক্ষনবাড়িয়া-৫ আসনের নবীনগরবাসীর আপনজন অ্যাডভোকেট রাজিব আহসান চৌধূরী পাপ্পু বলেন, জুলাই বিপ্লবের শহীদের হত্যার বিচার চাই, আহতদের উন্নত চিকিৎসা দাবি করছি। বিএনপি নেতা-কর্মীদের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী করছি। আমি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফার আলোকে সাম্য, মানবিকতা ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে চাই।

কোরআন তেলওয়াত করেন ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলা ছাত্রদল নেতা মোজাম্মেল হক রাজু। এরপর শহীদ ও আহতদের স্মরণে সবাই দাড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা ও ব্রাক্ষণবাড়িয়া-৫ নবীনগর বাসীর কল্যাণে অ্যাডভোকেট রাজিব আহসান চৌধুরী পাপ্পু। 

ইফতার মাহফিল

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মামুন হাসান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের সাংগঠনিক সম্পাদক  এ কে এম আনিসুল হক এবং জুলাই বিপ্লবে শহীদ ও আহত পরিবারের সদস্যরা।

অনুষ্ঠান শেষে জুলাই বিপ্লবে শহীদ-আহতদের পরিবার এবং কারাভোগকারী বিএনপি নেতা-কর্মীদের সম্মাননা প্রদান করা হয়। এ সময় সম্পাদক শফিক রেহমান সম্পাদিত ‘রাষ্টনায়ক জিয়াউর রহমান’শীর্ষক বই ও  লাল গোলাপ তাদের হাতে তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি।

যারা সম্মাননা সূচক গ্রন্থ পেলেন, যথাক্রমে- শহীদ নাফিজের মা, শহীদ কামরুলের বাবা, শহীদ রফিকের মাতা, শহীদ সুজয়ের ভাই, নবীনগর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পদক ও কারা নির্যাতিত নেতা গোলাম কিবরিয়া শিবলী, ঢাকা মহানগর পূর্ব ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. তোফাজ্জল হোসাইন খান, বড়াইল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শামীম খান, নবীনগন পৌর যুবদলের সদস্য সচিব কারা নির্যাতিত নেতা ইমাম হোসেন অনিক, আহমেদ রুবেল, সজিব মিয়া এবং নবীনগর উপজেলা ও পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আল আমীন মোল্লা, জাহিদুল ইসলাম রতন, মো. বাহাদুর মিয়া, নবীনগর পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব মেহেদী হাসান ও নবীনগর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের কারা নির্যাতিত নেতা আরিফুল ইসলাম রুবেল, ইয়াসির আরাফাত রিমন, নাইমুল ইসলাম প্রমুখ।

 

ইত্তেফাক/এনএ