রোববার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২
The Daily Ittefaq

রাতভর কাজ করার ফলে সুন্দরবনের আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে

আপডেট : ২৫ মার্চ ২০২৫, ১০:২৫

সুন্দরবনে ২ দফায় আগুন লাগার ৭২ ঘণ্টা পর অবশেষে নিয়ন্ত্রণ এসেছে। গত শনিবার পূর্ব সুন্দরবনের ধানসাগর ফরেস্ট স্টেশনের কলম তেজি এলাকায় আগুন লাগার একদিন পর রোববার বিকালে সেগুলো নিভিয়ে ফেলা হয়। 

এদিন সকালে নতুন করে আবারও ধোয়া দেখা যায় ধানসাগর ফরেস্ট স্টেশনের কাছে। এরপর বন বিভাগ, স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও এলাকাবাসী আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে লেগে যায়। এ সময় সকলে মিলে ফায়ার লাইন কাটার কাজ শুরু করে। সন্ধ্যার পরে ফায়ার সার্ভিস বনবিভাগ ও স্থানীয়রা আগুন নিভানোর জন্য রাতভর কাজ করে। কিন্তু পানির অভাবে সে কাজ থমকে যায়। 

সোমবার সকালেও সুন্দরবনে গিয়ে দেখা যায় সুন্দরবন এখনো আগুনে পুড়ছে। এ সময় পানির অভাবে দুপুরে আগুন নিভানোর কাজ বন্ধ হয়ে যায়। রাত আটটার দিকে আবারও আগুন নিভানোর কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিস বনবিভাগ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও স্থানীয় সহ ৭০ জনেরও বেশি মানুষ। 

কিন্তু রাত তিনটার দিকে মরাভোলা খালে ভাটা হয় যায়। এ সময় পানি না থাকায় মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সকাল আটটা পর্যন্ত আগুন নিভানোর কাজ বন্ধ থাকে বলে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা জানায়। এখন পর্যন্ত কোথাও আগুন এবং ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে না বলে তারা আরও জানায়। তবে আগুন এবং ধোয়া কোথাও আছে কিনা সেজন্য কাজ করে যাচ্ছেন বন বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।

বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণ এসেছে কোথাও কোন ধোয়া বা আগুন দেখা যাচ্ছে না। তবে আগুন বা ধোয়া কোথাও আছে কিনা এজন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। হয়তো দুপুর নাগাদ আগুন সম্পূর্ণ নিভে গেছে নিশ্চিত হলে আমরা ঘোষণা দেবো যে সুন্দরবনে এখন আর আগুন নাই। এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের খুঁজে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। 

তিনি আরও জানান, ইতিমধ্যে কলমতেজী এলাকায় আগুন লাগার ঘটনায় চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন কর্মকর্তা দ্বীপন চন্দ্র দাসকে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেহেতু লোকালয় থেকে অনেক ভিতরে আগুন লাগে সেহেতু আগুন নিভানোর জন্য খাল থেকে হর্সপাইপ টেনে নিয়ে আগুন নিভানোর কাজে বেশ বেগ পেতে হয়। 

আগুন নিভানোর কাজে ফায়ার সার্ভিস এবং বনবিভাগের স্থানীয় লোকজন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ছাড়াও অনেকেই স্বতঃস্ফূর্তভাবে সহযোগিতা করেন। 

ইত্তেফাক/কেএইচ