শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২
The Daily Ittefaq

কয়েক ঘণ্টায় ইয়েমেনে ১৭ দফা হামলা যুক্তরাষ্ট্রের, নিহত দুই

আপডেট : ২৬ মার্চ ২০২৫, ১৪:২০

ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতিদের লক্ষ্য করে ফের অতর্কিত হামলা চালিয়েছে মার্কিন বাহিনী। এতে দুই জন নিহত হয়েছেন। মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১৭ দফায় হামলা চালানো হয় দেশে। বুধবার হুতি সংশ্লিষ্ট সংবাদসংস্থা সাবা দ্য আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

ইয়েমেনের রাজধানী সানাতে এই হামলা চালিয়েছে মার্কিন যুদ্ধবিমান বলে দাবি করেছেন ইরান সমর্থিত গোষ্ঠী হুতি দাবি। এতে আহত হয়েছে ডজনেরও বেশি মানুষ। আল-সালেম, আল-সুফান, সাহারসহ শাদা প্রদেশের বেশকিছু শহরকে টার্গেট করে এই হামলা চালানো হয়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাড়িঘর। গত ১০ দিনে দেশটিতে অর্ধশতাধিক বেসামরিক লোকের মৃত্যু হয়েছে মার্কিন হামলায়।

এর আগে, গত ১৫মার্চ ওয়াশিংটন ইরান সমর্থিত হুতিদের বিরুদ্ধে সামরিক আক্রমণের ঘোষণা করে। দেশটি লোহিত সাগর এবং এডেন উপসাগরের মূল শিপিং রুটের জাহাজগুলোতে গুলি চালানো বন্ধ না করা পর্যন্ত অপ্রতিরোধ্য শক্তি ব্যবহার করবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। ওই দিন মার্কিন বিমান হামলার একটি তরঙ্গ দেখা গিয়েছিল।

ইয়েমেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রালয় জানিয়েছে, সেই হামলায় ৫৩ জন নিহত হয়েছে। এছাড়াও প্রবীণ হুতি নেতাদের হত্যা করা হয়েছে। এরপর থেকেই, ইয়েমেনের হুতি-অধিকৃত অংশগুলো প্রায় প্রতিদিনই হামলার সম্মুখিন হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে এই জন্যে দায়ী করেছে গোষ্ঠীটি।

গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই হুতিরা ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতির দাবি করে জাহাজগুলকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করতে শুরু করে। তবে জানুয়ারিতে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলে এঈ অভিযান বন্ধ করে দেয় তারা। এই মাসের শুরুতে, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের সহায়তা অবরোধের ওপর গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক বাণিজ্য রুটে নতুন করে হামলা চালানোর হুমকি দেয় তারা।

গত জানুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণের পরই ইয়েমেনে প্রথম মার্কিন হামলার সূত্রপাত ঘটে। গত সপ্তাহে হুতিদের নিশ্চিহ্ন করার হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। এছাড়া তেহরানকে এই গোষ্ঠীকে সহায়তা অব্যাহত রাখার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছিলেন।

অন্যদিকে, মঙ্গলবার মার্কিন রণতরী ও ইসরায়েলের সামরিক ঘাঁটিতে হামলার দাবি করেছে হুতি। গোষ্ঠীটির মুখপাত্র ইয়াহিয়ে সারে এক বিবৃতিতে জানান, লোহিত সাগরে মার্কিন রণতরী লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয়েছে মিসাইল। ড্রোন হামলা চালানো হয় তেল আবিবের সামরিক স্থাপনায়।

ইত্তেফাক/এএম/এনটিএম