শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২
The Daily Ittefaq

সাবেক ৩ সিইসির বিচার চান ইশরাক

আপডেট : ২৭ মার্চ ২০২৫, ২০:৩২

সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা, কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ এবং কাজী হাবিবুল আউয়ালের বিচার দাবি করেছেন বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের ফল নিয়ে মামলায় আদালতের রায় পক্ষে পাওয়ার পর তিনি এমন দাবি জানান।

ইশরাক বলেন, সাংবিধানিকভাবে তাদের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল–তারা কোনো চাপে না পড়ে এবং কোনো কিছুর বশবর্তী না হয়ে কাজ করবে। কিন্তু সেটিতে তারা ব্যর্থ হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু করা উচিত।

২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের সময় সিইসি ছিলেন কেএম নূরুল হুদা। ওই নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচন করে পরাজিত হন ইশরাক।

সোয়া চার লাখ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফজলে নূর তাপস। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ইশরাক পান ২ লাখ ৩৬ হাজার ভোট।

নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ফল বাতিল চেয়ে ২০২০ সালের ৩ মার্চ মামলা করেছিলেন ইশরাক। পাঁচ বছর পর বৃহস্পতিবার সেই মামলার রায় দেন ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম।

সেই নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত শেখ ফজলে নূর তাপসকে মেয়র ঘোষণা করে সরকারের জারি করা গেজেট বাতিল করা হয়েছে রায়ে। সেই সঙ্গে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করা হয়েছে।

ইশরাক বলেন, মহান আল্লাহ দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি। আমি ন্যায়বিচার পেয়েছি। আমি মেয়র হত পারব বা মেয়র হিসেবে শপথ নেব কি না সেটা সম্পূর্ণ দলীয় বিষয়।

তিনি আরও বলেন, সারা বাংলাদেশ, জাতি দিনদুপুরে দেখেছেন ভোট ডাকাতি হয়েছে। প্রথম থেকে আমরা অভিযোগ করে আসছিলাম, বিভিন্নভাবে আমাদের প্রচার বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। তখনকার বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থীদের বিনা মামলায় গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয়। আমাদের মিছিলের ওপর হামলা করা হয়। বহু নেতাকর্মীদের মেরে রক্তাক্ত করা হয়েছে। সর্বশেষ নির্বাচনের দিন মিডিয়ার ভাইদের নিয়ে সমস্ত কেন্দ্র যাই। সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত তারা কেন্দ্রই খোলেনি। এরপর এক থেকে দেড় ঘণ্টার মত কয়েকটা কেন্দ্র খোলা ছিল। পরবর্তীতে সমস্ত কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ব্যাপক কারচুপির মাধ্যমে ভোট জালিয়াতি করে আমার যে ভোট হয়েছিল, আমি যে সংখ্যক ভোট পেয়েছিলাম, সেটি থেকে বেশি ভোট দেখানোর জন্য দিনব্যাপী তারা কারচুপি করে। সেই বিষয়ে আমরা তখনই মামলা করেছিলাম। আদালত আজ রায় দিলেন।

ইত্তেফাক/এনএ