পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার ৫টি এটিএম বুথের সব কয়টি বন্ধ। এতে করে বিপাকে পড়েছেন ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন এলাকা থেকে নিজ এলাকায় আসা ঘরমুখো গ্রাহকেরা। বুথগুলোতে টাকা শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে কর্তৃপক্ষ বন্ধ করে রেখেছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ উপজেলায় চারটি ব্যাংকের পাঁচটি এটিএম বুথ রয়েছে- ওই বুথ পাঁচটি হল মার্কেন্টাইল ব্যাংকের দুটি, একটি কালাইয়া বন্দর বি কে ভবনের সামনে অপরটি কালিশুরী বাজারে, একটি করে বুথ রয়েছে ইসলামী ব্যাংক, ফাস্টসিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ও পূবালী ব্যাংকের। যা বাউফল পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে।
ঈদর দিন সোমবার বেলা ১১ টার দিকে সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার কালাইয়া বন্দর শাখার মার্কেন্টাইল ব্যাংকের এটিএম বুথ বন্ধ। শার্টারে সাইনবোর্ড টাঙানো রয়েছে, তাতে লেখা রয়েছে ‘আউট অব সার্ভিস’। গত শুক্রবার ওই সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দিয়েছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
এদিকে সরেজমিনে উপজেলা সদরের ইসলামী ব্যাংক, ফাস্টসিকিউরিটি ব্যাংক ও পূবালী ব্যাংকের এটিএম বুথ গুলোতে দেখা গেছে, নিরাপত্তাকর্মী আছে। কিন্তু টাকার লেনদেন বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে কালিশুরী বন্দর শাখা মার্কেন্টাইল ব্যাংকের এটিএম বুথও।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টাকা শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে কর্তৃপক্ষ এটিএম বুধ গুলো বন্ধ করে রেখেছেন।
বরিশাল থেকে নিজ বাড়ি উপজেলার কালাইয়া বন্দরে আসছেন ডা. আহসানুল ইসলাম কেবু। তিনি বলেন, নগদ টাকা বহন না করে ডেভিট কার্ড নিয়ে এসেছিলাম। ভেবেছিলাম এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তোলন করবো। রোববার টাকা উত্তোলন করতে গিয়ে জানতে পারি, কোনো বুথেই টাকা নাই।
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন মাহফুজা জুঁই। তিনি বলেন, পরিবার-পরিজন নিয়ে ঢাকা থেকে বাড়িতে এসেছেন ঈদ করতে। আসার পথে ছিনতাইয়ের ভয়ে সঙ্গে করে টাকা নিয়ে আসেননি। চিন্তায় ছিল এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তোলন করে খরচ করবেন। কিন্তু এটিএম বুথে টাকা না থাকায় বিপাকে পড়েছেন। তিনি ভাবেতেই পারেনি এমনটি হবে।
মার্কেন্টাইল ব্যাংকের কালাইয়া বন্দর শাখার ব্যবস্থাপক মো. আল মামুন সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘ব্যাংক না খোলা পর্যন্ত (আগামী রোববার ৬ এপ্রিল) বুথ থেকে টাকা উত্তোলন করার কোনো সুযোগ নাই। কারণ ব্যাংক বন্ধ থাকায় ভল্ট থেকে টাকা বের করার কোন সুযোগ নাই। এ কারণে দুঃখ প্রকাশ করে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে।’