ফেসবুকের পরিচয়। তারপর সেই পরিচয় গড়ায় প্রণয়ে। এক পর্যায়ে স্বামী-সন্তান রেখেই টাঙ্গাইলের সখীপুরে প্রেমিকের বাড়িতে পাড়ি জমান রংপুর সদর উপজেলার বাসিন্দা রিনা আক্তার (২৪) । সবশেষ ৫ মাস পরেই সেই ঘরেই মিলল রিনার ঝুলন্ত মরদেহ।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রিনা আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করছে রিনার দ্বিতীয় স্বামীর বাড়ির লোকজন।
পুলিশ ও রিনার দ্বিতীয় স্বামীর বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ফেসবুকে দেওয়ান রাব্বীর সঙ্গে রিনা আক্তারের পরিচয় হয়। ওই পরিচয়ের সূত্র ধরেই প্রায় ৫ মাস আগে রিনা টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কচুয়া গ্রামে দেওয়ান রাব্বীর বাড়িতে চলে আসেন। রাব্বী তাকে বিয়েও করেন। বিয়ের পর রিনা বাবার বাড়ির (রংপুর) কারও সঙ্গে যোগাযোগ রাখেননি। তবে গেল ঈদের আগে (রমজান মাসে) রিনা রংপুরে তার বাবার বাড়ি গিয়েছিল এবং ঈদের আগে আবারও রাব্বীর বাড়িতে চলে আসে। সবশেষ মঙ্গলবার ঘরের আড়া থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
রিনার শ্বশুর দেওয়ান মোজাম্মেল বলেন, এর আগেও রিনার এক জায়গায় বিয়ে হয়েছিল। ওই ঘরে তার একটি পুত্র সন্তানও আছে। আমার ছেলের কাছে আসার পর আমরা তাদের বিয়ে মেনে নিয়েছি। মঙ্গলবার বিকেলে আমার ছেলে রাব্বী কাজ থেকে বাড়ি ফিরে দেখতে পায়, রিনার মরদেহ ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলে আছে।
এ বিষয়ে সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।