ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে যুবদল কর্মী মেহেদী হাসান রাকিব (২৮) খুনের ঘটনায় মামলা হয়েছে। নিহতের বাবা মজিবর রহমান বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে পাগলা থানায় মামলাটি করেন।
মামলায় জেলা যুবদলের সদস্য ইয়াছিন খানকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এছাড়া তার অনুসারী মিজু মিয়া, নজরুল শেখ, জাহিদুল, তাইজুল, মন্তাজ, বেলাল, জিয়াউল, মোফাজ্জল ও পারভেজের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয়ের আরও ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে গত সোমবার (৭ এপ্রিল) রাতের এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
ফসলি জমির মাটি কেটে নেওয়াকে কেন্দ্র করে উপজেলার পাগলা থানার নিগুয়ারী ইউনিয়নের ত্রিমোহনী বাজারের পল্টন মোড়ে সোমবার রাতে মেহেদীকে পিটিয়ে ও ইট দিয়ে মাথা-মুখ থেতলে হত্যা করা হয়। ওই সময় সাবিদ নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হন। নিহত মেহেদী তললী গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে।
নিহত রাকিবের বাবা মজিবর রহমান ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে বলেন, পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। এর আগেও এই বাহিনী নিগুয়ারী ইউনিয়নে অনেক মাছের খামার দখল ও মাছ লুট করেছে। অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ইয়াছিনের মোবাইল ফোনে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। এমনকি তার বাড়িতে গেলেও জানা যায়, ঘটনার পর থেকেই তার হদিস নেই।
নিহতের বাবা মজিবর রহমান আরো অভিযোগ করেন, ময়মনসিংহ জেলা যুবদলের সদস্য ইয়াছিন খান ও তার বাহিনীর সঙ্গে ফসলি জমির মাটি কাটা নিয়ে বিরোধ চলছিল তার ছেলে যুবদল কর্মী মেহেদীর। এ নিয়ে পল্টন মোড়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাকে যুবদল নেতা ইয়াছিনসহ তার অনুসারীরা হত্যা করে। হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা পাগলা থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আক্তারুজ্জামান বাচ্চুর অনুসারী।
এ ব্যাপারে পাগলা থানার ওসি মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম বলেন, মামলায় নাম উল্লেখ করা আসামিদের মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে ইয়াছিনসহ অন্যান্য আসামিদের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছি। তবে তারা সবাই পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান রয়েছে।