বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২
The Daily Ittefaq

গুরুদাসপুরে সরকারি জমি বিক্রির অভিযোগ, চলছে পাকা স্থাপনা নির্মাণ

আপডেট : ১০ এপ্রিল ২০২৫, ১৪:১৮

নাটোরের গুরুদাসপুর পৌর শহরের চাঁচকৈড় হাটের মাছ বাজার সংলগ্ন সরকারি একটি জমি ২০ লাখ টাকায় বিক্রির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় দুই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। শুধু তাই না, ওই জমিতে পাকা স্থাপনা নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। উপজেলা প্রশাসন থেকে নোটিশ দিয়ে নির্মাণ বন্ধ ও স্থাপনা ভাঙার নির্দেশনা দেওয়া হলেও তা মানছেন না অভিযুক্তরা।

অভিযুক্তরা ব্যবসায়ীরা হলেন- আব্দুল মজিদ ও তার ভাগনে সজল উদ্দিন। তারা চাঁচকৈড় বাজার এলাকার বাসিন্দা।

স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, আব্দুল মজিদ প্রায় ১৮ বছর ধরে সরকারি ওই জমিতে টিনশেড ঘর তুলে গোখাদ্যের ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন। সম্প্রতি তিনি গোপনে ওই জমিটি ২০ লাখ টাকায় ভাগনে সজল উদ্দিনের কাছে পজিশন বিক্রি করেন। এরপর থেকেই সেখানে পাকা ইটের স্থাপনা নির্মাণ শুরু হলে ঘটনাটি সামনে আসে।

স্থানীয় ব্যবসায়ী সোবহান মোল্লা ইত্তেফাককে জানান, ষাটের দশকে চাঁচকৈড় বাজারের ওই জমিটি একটি ক্লাবের অধিনে ছিল। সেখানে সামাজিক উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করতেন ক্লাবের সদস্যরা। তবে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে আব্দুল মজিদ ওই জমিটির একটা অংশ ভোগ দখল করছিলেন। পরবর্তীতে ২০০৬-৭ সালে তিনি নিজের নামে লিজ গ্রহণ করেন।

গুরুদাসপুর পৌর ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, চাঁচকৈড় মৌজার ১ নম্বর খাস খতিয়ানের ২০ বর্গমিটারের সরকারি জমিটি ২২৩/৬-৭ কেস মূলে একসোনা হিসেবে লীজ নিয়ে ব্যবহার করছিলেন আব্দুল মজিদ। প্রতি বছর লীজ নবায়নের নিয়ম থাকলেও তিনি নিয়ম না মেনে তা বিক্রির চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে সজল উদ্দিন জানান, তারা জমিটি টাকার বিনিময়ে কেনেননি, বরং ভাড়া নিয়ে সংস্কার করছেন। একই দাবি করেছেন লিজ গ্রহীতা আব্দুল মজিদও।

এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাহমিদা আফরোজ বলেন, সরকারি জমিতে অবৈধভাবে পাকা স্থাপনা নির্মাণের বিষয়ে তিনি অবগত আছেন। এ নিয়ে আব্দুল মজিদ তার কাছে অনুমতির জন্য আসলেও তা দেওয়া হয়নি। বরং স্থাপনা ভাঙার জন্য তাকে ৭ দিনের সময় দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে স্থাপনা না সরালে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইত্তেফাক/এএস/এএইচপি