বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২
The Daily Ittefaq

ফুলবাড়ীর খরাস্রোতা শাখা যমুনা এখন মরাখাল, নদীর বুকজুড়ে ফসলের মাঠ 

আপডেট : ১২ এপ্রিল ২০২৫, ১৭:৩০

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত খরস্রোতা যমুনা নদীর শাখা এখন শুকিয়ে মরাখালে পরিণত হয়েছে। নদীর বুকজুড়ে কৃষকের ফসলের সমারোহ। অথচ এক সময় এই নদীর পানি দিয়ে তীরবর্তী জমির ফসলে সেচ দিতেন কৃষকরা। স্থানীয়রা বলছেন, সরকারিভাবে নদী খনন করা হলে পাল্টে যাবে ছোট যমুনা নদীর চিত্র।

ছবি: ইত্তেফাক

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ফুলবাড়ী উপজেলা দিয়ে বয়ে যাওয়া ছোট যমুনা নদীটি দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার বিন্যাকুঁড়ি নামক স্থানে ইছামতি নদী থেকে উৎপন্ন হয়ে ফুলবাড়ী উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত হয়ে পার্শ্ববর্তী বিরামপুর উপজেলার কাটলা সীমান্ত ঘেঁষে হাকিমপুর উপজেলার হিলি ভারতীয় সীমান্ত এলাকায় ঢুকে পড়েছে। এরপর কিছু দূর প্রবাহিত হয়ে আবারও বাংলাদেশের জয়পুরহাটের পাঁচবিবি হয়ে নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার ত্রিমোহনী যমুনা ও আত্রাই নদীতে মিলিত হয়েছে। এরমধ্যে ছোট যমুনা নদীটি ফুলবাড়ী উপজেলায় প্রায় ৫৩ কিলোমিটার প্রবাহিত হয়েছে। নদীটির দৈর্ঘ্য ৭০ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৮৫ মিটার।

একটা সময় এই নদীর পানি দিয়ে চলতো এই অঞ্চলের কৃষকের চাষাবাদ কার্যক্রম। নদীর মাছ ধরে জেলে সম্প্রদায়ের লোকজন জীবিকা নির্বাহ করতেন। এলাকার মানুষের মাছের চাহিদা পূরণ হতো। বর্তমানে নদীতে পানি না থাকায় এ অঞ্চলে দেশি মাছের অভাব দেখা দিয়েছে। বর্ষা মৌসুমে নদীটি ভরাট হয়ে এলাকা প্লাবিত হলেও নদীতে পানি থাকে মাত্র ১৫ থেকে ২৫ দিন। বর্ষা পরবর্তী সময়ে শুষ্ক মৌসুমেও পানির অভাবে নদীর দুই পাশে শস্য আবাদ করতে পারেন না কৃষকেরা।

ছবি: ইত্তেফাক  

উপজেলার খয়েরবাড়ী ইউনিয়নের লালপুর গ্রামের কৃষক জিল্লুর রহমান, বাবু ইসলাম ও আতিয়ার বলেন, খয়েরবাড়ী, দৌলতপুর দিয়ে বয়ে যাওয়া ছোট যমুনা নদীটি স্থানীয়দের জন্য ছিল আশীর্বাদ স্বরূপ। আগে নদী গভীর ছিল, নদীর পানি দিয়ে তীরবর্তী এলাকার জমিতে চাষাবাদ হতো। আবার কেউ কেউ নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন। দীর্ঘদিন ধরে খনন না করায় নদীর গভীরতা কমে যায়। নদীতে এখন পানি থাকে না বললেই চলে। বর্ষা মৌসুমে কিছু সময় পানি থাকলেও বাকি সময় শুকনা খটখটে। পানি না থাকায় নদীর বুকে জেগে ওঠা চরে অনেকেই ধানসহ নানা ধরনের চাষাবাদ করছেন।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মাদ জাফর আরিফ চৌধুরী বলেন, সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে নদী খননের উদ্যোগ নেওয়া হবে।  

ইত্তেফাক/এসএ/এসএএস