জনগণের ভোগান্তি সৃষ্টি করে ফুটপাত ও রাস্তায় কোনো ব্যবসা করতে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। এজন্য দখল হওয়া খাসজমি, খেলার মাঠ ও পার্ক উদ্ধারে দ্রুত অভিযান চালাবে বলে জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) রাজধানীর মধুবাগ কমিউনিটি সেন্টারে ডিএনসিসির অঞ্চল-০৩ এর বাসিন্দাদের সঙ্গে গণশুনানিতে তিনি এ কথা বলেন।
ডিএনসিসির প্রশাসক বলেন, আমরা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছি। খাস জমিগুলো উদ্ধার করে ছোট ছোট পাবলিক স্পেস করে দেব। ডিএনসিসির সব খেলার মাঠ ও পার্ক সার্বক্ষণিক তদারকির জন্য উন্মুক্ত থাকবে। কোনো ব্যক্তি, ক্লাব বা সংস্থা বিনা অনুমতিতে খেলার মাঠ ও পার্ক ব্যবহার করতে পারবে না। পার্কের ক্ষেত্রে সিটি কর্পোরেশনের কর্মীরা এলাকাবাসীকে সম্পৃক্ত করে একটি কমিটি করে তদারকি করবে।
গণশুনানিতে অংশ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের এলাকার নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন। এর মধ্যে রয়েছে মশার উৎপাত, ফুটপাত বেদখল, স্ট্রিট লাইট সচল না থাকা, জলাবদ্ধতা, খাল উদ্ধার, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার দৌরাত্ম্য, খেলার মাঠ ও সড়ক মুক্ত করার দাবি করেন স্থানীয়রা।
তিনি বলেন, জনগণের চাওয়া পাওয়ার সঙ্গে সিটি কর্পোরেশনের কাজের মিল হলে সফলতা আসবে। সেজন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মতামত ও পরামর্শগুলো সরাসরি জানতে আমি প্রতিটি ওয়ার্ডে যাচ্ছি। আপনারা যেগুলো তুলে ধরেছেন এর বাইরে আরও যেসব সমস্যা রয়েছে সেগুলো আপনারা আমাকে লিখিত আকারে দেন। আমাদের ফেসবুক পেইজে লেখেন। আমরা ব্যবস্থা নেব। সবার ঢাকা অ্যাপটি দ্রুতই চালু করা হবে। সেখানেও আপনাদের অভিযোগ জানাবেন। আপনাদের সব তথ্য সংরক্ষিত থাকবে। নির্দিষ্ট সময় পরে আমি আবার আপনাদের কাছে আসবো। তখন আপনারা আমাকে জবাবদিহিতার জন্য ধরতে পারবেন।
গণশুনানিতে আরও উপস্থিত ছিলেন- ডিএনসিসির অঞ্চল-৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ উল মোস্তাক, নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুল আলম, কর কর্মকর্তা মো. শাহেদ জোহার, সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আজিজুন নেছা, সহকারী প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. আরাফাত হোসেন প্রমুখ।