বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২
The Daily Ittefaq

ছাগলকে ঘাস খাওয়ানো নিয়ে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ১০ 

আপডেট : ১২ এপ্রিল ২০২৫, ১৮:১২

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় ছাগলের ঘাস খাওয়ানোকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলার বাঙ্গরা পশ্চিম ইউনিয়নের কুড়াখাল ও দিঘীরপাড় গ্রামবাসীর মধ্যে  এ সংঘর্ষ হয়।

সংঘর্ষে আহতরা হলেন—কুড়াখাল গ্রামের কামরুল হাসান (৬২), তার ছেলে হৃদয় সরকার কাজল (৩১), একই গ্রামের আলম, সিয়াম, বশির ও ইমরান এবং দিঘীরপাড় গ্রামের ওয়াহেদ মুন্সির ছেলে সজিব মুন্সি (৩৫), হৃদয় কাজী (২৩), জুয়েল কাজী (২৩), বশির মুন্সি (২৮)।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কুড়াখাল গ্রামের কামরুল হাসান কুড়াখাল-দিঘীরপাড় বিলের জমিতে তার গৃহপালিত কয়েকটি ছাগলকে ঘাস খাওয়াতে নিয়ে যায়। এ সময় পার্শ্ববর্তী দিঘীরপাড় গ্রামের সজীব মুন্সি তার জমির ঘাস ছাগল দিয়ে খাওয়ানো এবং কেটে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ তুলে কামরুলকে মারধর করেন। তখন কামরুলকে বাঁচাতে তার ছেলে হৃদয় সরকার কাজলসহ আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে সজীব মুন্সি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দিঘীরপাড় গ্রাম থেকে লোকজন ডেকে নিয়ে আসে। পরে দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে শুরু হয় সংঘর্ষ। এতে গুরুতর আহত হন দুই গ্রামের বেশ কয়েকজন। 

মারধরের শিকার কামরুল হাসান জানান, শুক্রবার বিকেলে তার কয়েকটি ছাগল বিলের ফাঁকা জমিতে ঘাস খাওয়াতে নিয়ে যান। এ সময় সজীব মুন্সী তাকে ঘাস চুরির অপবাদ দিয়ে মারধর করে। একপর্যায়ে গ্রামের লোকজনকে ডেকে এনে কামরুলকে উদ্ধার করতে আসা তার ছেলে হৃদয় সরকার কাজলসহ গ্রামের অন্যদের  বেধড়ক মারধর করে।

অভিযুক্ত সজীব মুন্সী বলেন, আমি বিলে একটি ঘাস খেত করেছি। প্রায় প্রতিদিনই আমার অজান্তে ওই ঘাস ক্ষেত থেকে ঘাস কেটে নিয়ে যায়। শুক্রবার বিকেলে খেতে গিয়ে দেখি কামরুল প্রায় ১০ থেকে ১২টি ছাগল দিয়ে আমার জমিতে ঘাস খাওয়াচ্ছে। আমি তাকে বাধা দিলে, সে তার বাড়ি থেকে লোকজন ডেকে এনে আমাকে মারধর করার চেষ্টা করে। পরে আমি নিজেকে বাঁচাতে আমার বাড়ির লোকজন ডেকে এনে তাদেরকে প্রতিহত করেছি। এ ঘটনায় আমাদের পক্ষ থেকে চারজন আহত হয়েছে।

এ বিষয়ে বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি মাহফুজুর রহমান জানান, কুড়াখাল গ্রামের মারামারির বিষয়টি আমি শুনেছি। কী নিয়ে মারামারি হয়েছে তা এখনো জানতে পারিনি। তবে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইত্তেফাক/এসএএস