বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২
The Daily Ittefaq

ইসরায়েলি পণ্য বর্জনের দাবিতে গাজীপুরে গার্মেন্টস-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা

আপডেট : ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৪১

গাজীপুরে পোশাক তৈরি কারখানাসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার বিকালে মহানগীরর বিভিন্ন স্থানে এসব হামলা চালানো হয়। 

মার্চ ফর গাজার প্রতি সংহতি জানিয়ে গাজীপুরের কোনাবাড়ী, কাশিমপুর, কালিয়াকৈর, টঙ্গী, বোর্ড বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে হাজার হাজার পোশাক শ্রমিকরা। 

সকালে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়ক ও ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কে শান্তিপূর্ণ মিছিল করলেও বিকেলে কোনাবাড়ী এলাকায় স্ট্যান্ডার্ড স্টিচেস ওভেন লিমিটেড, কনকর্ড নিটিং অ্যান্ড ডাইং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এবং কাশিমপুরে ডিবিএল গ্রুপের মাইমুন ও মতিন গার্মেন্টস খোলা রাখায় ইসরায়েলি আগ্রাসানবিরোধী মিছিল থেকে হামলা ও ভাঙচুর চালায়।

কোনাবাড়ীতে বাটা শো-রুম, আজওয়া, পিজ্জা হল, আপেক্স, স্বপ্ন সুপার শপ, বিউটি সুইট মিটসহ প্রায় ১৫ থেকে ২০টি দোকানে হামলা ও ভাঙচুর চালায় বিক্ষোভকারীরা।

পরে বিক্ষুব্ধরা কোনাবাড়ীতে আবাসিক হোটেল রেইনবো ও মুনে হামলা ও  ভাঙচুর চালায়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

অপরদিকে বিক্ষুব্ধরা জনতা মুন হোটেল থেকে আসবাবপত্র বের করে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কে আগুন ধরিয়ে দেয়। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো কোনাবাড়ীতে।

স্ট্যান্ডার্ড স্টিচেস ওভেন লিমিটেডের এডমিন ম্যানেজার ইউসুফ আলী গণমাধ্যমকে বলেন, বিকেলে বহিরাগত শ্রমিকরা এসে আমাদের কারখানায় হামলা চালায়। এসময় তিনি বলেন, আমি একটি মিটিংয়ে আছি পরে কথা বলছি।

কাশিমপুরে ডিবিএল গ্রুপের এইচ আর জিএম মো. নাইমুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, বিকেল সাড়ে তিনটার সময় কিছু শ্রমিক দুই নম্বর গেটে এসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। পরে তারা বড় একটি মিছিল নিয়ে এসে আমার কারখানার ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করলে ছুটি ঘোষণা করা হয়। তিনি আরো বলেন, আমাদের মতিন স্পিনিং মিলস এবং জিতার মোড়ে মাইমুন লিমিটেডে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। 

গাজীপুর মেট্রোপলিটন কোনাবাড়ী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবু মোহাম্মদ নাসের আল আমিন বলেন, বিকেলে কোনাবাড়ী ও কাশিমপুরে ইসরায়েলি আগ্রাসানবিরোধী মিছিল থেকে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা কয়েকটি কারখানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। কোনাবাড়ীতে ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের দাবি জানিয়ে বেশ কিছু দোকানপাট ও শপিংমলে হামলা ও ভাঙচুর চালায় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। এসময় ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কে প্রায় দুই ঘণ্টা যানচলাচল বন্ধ থাকে। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনলে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।

ইত্তেফাক/এএইচপি