শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২
The Daily Ittefaq

জাপানের সমুদ্রতলে মিললো ১২ হাজার বছরের প্রাচীন সভ্যতা 

আপডেট : ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ১৪:৫৪

পিরামিডের এক অজানা শহরের দেখা মিলেছে জাপানের সমুদ্রতলে। মাত্র ৯০ ফুট গভীরে অবস্থিত এই সভ্যতায় দেখা মিলেছে পিরামিড, ইয়োনাগুনি স্মৃতিস্তম্ভসহ বেশকিছু প্রাচীন নিদর্শনের। এমনটি দাবি করছে ওই দেশের প্রত্নতত্ত্ববিদরা। যা নিয়ে মুগ্ধতার পাশাপাশি সৃষ্টি হয়েছে নানা বিতর্ক। খবর এনডিটিভির।

এর আগে ১৯৮৬ সালে জাপানের সমুদ্রের রিউকিউ দ্বীপপুঞ্জের উপকূলে পানির ৮২ ফুট নীচে পাওয়া গিয়েছিলো এই নিদর্শন। এবার ইয়োনাগুনির দ্বীপের উপকূলে নতুন করে এ সভ্যতার সন্ধান মিলেছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, পানির নিচের ওই স্থাপত্য জানান দেয় এটি ১২ হাজার বছরের বেশি পুরানো সভ্যতা। এ ধারণা সত্যি হলে এটি 
মিসরের পিরামিডের চেয়েও কয়েক হাজার বছর আগে তৈরি হওয়া ইয়োনাগুনি মনুমেন্ট হবে বলে বিবেচিত হবে। 

প্রত্নতত্ত্ববিদদের দাবি , কৃষিখাতে উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে এই সভ্যতার সৃষ্টি হয়। যদি ওই সভ্যতা ১০ হাজারের আগে তৈরি করা হতো তাহলে ইউরুপের আটলান্টিস সভ্যতার মতো হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। 

তারা আরও জানান, কিছু সংশয়বাদীরা এখনও ভাবছেন এই স্থাপত্য নিদর্শন ও সভ্যতা মানবসৃষ্ট।  

এ বিষয়ে দ্য নিউ ইয়র্ক পোস্ট লিখেছেন, ইউটিউবার জো রোগানের এক্সপেরিয়েন্স পডকাস্টে এই পিরামিড নিয়ে আলোচনা করা হয়। যেখানে ডুবে যাওয়া প্রাচীন সভ্যতার এই স্থাপত্য নিদর্শন নিয়ে বিতর্কের জন্ম দেন লেখক গ্রাহাম হ্যানকক এবং প্রত্নতাত্ত্বিক ফ্লিন্ট ডিবল। তারা দুইজন স্থাপত্য ও সভ্যতা নিয়ে তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। যেখানে তাদের ভাষ্যে দ্বিমতের প্রকাশ পায়।      

প্রত্নতাত্ত্বিক ডিবল ২০২৪ সালের এপ্রিলে এক পডকাস্টে বলেছিলেন, আমি প্রচুর প্রাকৃতিক নিদর্শন দেখেছি এবং আমি এখানে এমন কিছুই দেখিনি যা আমাকে মানব স্থাপত্যের কথা মনে করিয়ে দেয়। এটি দেখেই বোঝা যায় যে, প্রাকৃতিকভাবে হয়েছে।    

লেখক হ্যানককের ধারণা, সমুদ্রের গভীরে বিশেষ একটি জায়গা থেকে ওই পাহাড়ের ছবি তোলা হয়েছে। যার কারণে একে পিরামিডের শহর বলে ধারণা করছেন অনেকে। 

তিনি আরও বলেন, এটি প্রশান্ত মহাসাগরের ‘রিং অফ ফায়ার’ এলাকায় অবস্থিত। যেখানে প্লেটের অহরহ ঘর্ষণ চলছে। ফলে জলমগ্ন পাহাড়ের কোনও একটা অংশ নিখুঁত ভাবে কেটে গিয়ে একপাশে সরে যাওয়া আশ্চর্যের নয়।

ইত্তেফাক/এমআর/এএইচপি