বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২
The Daily Ittefaq

ভুল করে বিতরণ করা ১৬৩৭ প্রজেক্টর আট মাস পর ফেরত নেওয়া হলো, হতাশ শিক্ষকরা

আপডেট : ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:২৬

দিনাজপুর জেলার ১ হাজার ৬৩৭ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডিসপ্লে বা স্ক্রিন, প্রজেক্টরসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম দেওয়ার ৮ মাস পর আবার ফেরত  নিয়েছে জেলা শিক্ষা অফিস।

জানা যায়, বেশিরভাগ বিদ্যালয় এগুলো কাজে লাগায়নি। এছাড়াও ডিসপ্লে ও প্রজেক্টরসহ যাবতীয় সরঞ্জাম যাচাই-বাছাই না করে এবং অধিদপ্তর থেকে নির্দেশনা আসার আগেই ভুল করে বিদ্যালয়গুলোতে বিতরণ করা হয়। এজন্য বিতরণের আট মাস পর বিদ্যালয় থেকে এসব সরঞ্জাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে ফেরত আনা হয়েছে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে ও আধুনিক ডিজিটাল প্রযুক্তিতে শিক্ষাদানের লক্ষ্যে গত আগস্ট মাসে দিনাজপুর প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ে দুটি কোম্পানির চার হাজার ডিসপ্লে, প্রজেক্টর ও ক্যাবলসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম আসে। এর মধ্যে একটি কোম্পানির এক হাজার ৬৫৪টি প্রজেক্টর ও সরঞ্জাম এবং আরেকটি কোম্পানির দুই হাজার ৩৪৬টি প্রজেক্টর ও সরঞ্জাম। প্রথম কোম্পানির এক হাজার ৬৫৪টি প্রজেক্টর ও সরঞ্জামের মধ্যে ১৭টি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। বাকি এক হাজার ৬৩৭টি প্রজেক্টর ও সরঞ্জাম জেলার ১৩ উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিতরণ করা হয়। কিন্তু বিতরণের আট মাস পর হঠাৎ গত সপ্তাহে এসব সরঞ্জাম ফেরত দেওয়ার জন্য ১৩ উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে নির্দেশ দেন। সেই মোতাবেক বিদ্যালয়গুলো থেকে এসব সরঞ্জাম ফেরত দেওয়া হয়।

এদিকে, অনেক প্রতিষ্ঠান প্রজেক্টর দিয়ে আধুনিক ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষাদান করেছিল। অনেক প্রতিষ্ঠান ফেলে রেখেছিল। তবে হঠাৎ এগুলো ফেরত নেওয়ায় যারা ব্যবহার করছিলেন, যেসব বিদ্যালয়ের শিক্ষক হতাশ হন। কবে নাগাদ পাওয়া যাবে, তাও জানানো হয়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২১ আগস্ট বিরল উপজেলার ১৩৯টি সরকারি বিদ্যালয়ে প্রজেক্টরসহ অন্যান্য সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়েছিল। এসব সরঞ্জাম গত ৯ ও ১০ এপ্রিল বিরল উপজেলা শিক্ষা অফিস ফেরত নেয়। 

এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মুর্শিদা খাতুন জানান, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশে এসব সরঞ্জাম ফেরত নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এ এম শাহজাহান সিদ্দিক গণমাধ্যমকে বলেন, ‌‘যেসব বিদ্যালয়ে এসব সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়েছে, তার সবগুলো ফেরত নিতে হবে। কারণ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর থেকে বিশেষজ্ঞ টিম এসে এগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখবে। সেটি না করেই বিতরণ করা হয়েছিল। আমি এখানে যোগদানের আগেই এটি হয়েছে। ভুলবশত আগের শিক্ষা কর্মকর্তা বিতরণ করেছেন।’

তিনি আরও জানান, সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে এগুলো এখন ফেরত নেওয়া হচ্ছে। যাচাই-বাছাই শেষ হলে অধিদফতর থেকে দেওয়া তালিকা অনুযায়ী পরে বিতরণ করা হবে। 

ইত্তেফাক/এএইচপি