সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জে বিজিবির সদস্যদের ওপর অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকারী শ্রমিকদের চড়াও হওয়ার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়েছে।
স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্র জানায়, বুধবার (১৬ এপ্রিল) রাতে ফেসবুকে ছড়ানো ভিডিওটি গত মঙ্গলবার বিকেলে ধারণ করা। ভোলাগঞ্জে রেলওয়ে রজ্জুপথ এলাকায় টহলে গেলে বিজিবি সদস্যদের ওপর শ্রমিকেরা চড়াও হন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রেলওয়ে রজ্জুপথ এলাকায় গত মঙ্গলবার বিকেলে বিজিবির তিন সদস্য টহলে যান। ওই সময় রজ্জুপথ এলাকায় অবৈধভাবে তোলা পাথর বহনকারী একটি নৌকা ডুবে যায়। শ্রমিকদের দাবি, বিজিবি সদস্যরা ওই নৌকা ডুবিয়েছেন। একপর্যায়ে বালু-পাথর উত্তোলনকারী শ্রমিকেরা জড়ো হয়ে বিজিবি সদস্যদের ওপর চড়াও হন।
তাদের ভাষ্য, বিজিবির সদস্যদের টাকা দিয়ে তারা বালু ও পাথর তোলেন। এরপরও তারা কেন তাদের নৌকা ডুবিয়েছেন। নৌকা ডোবানোর জন্য শ্রমিকেরা ক্ষতিপূরণ দাবি করতে থাকেন। এ সময় বিজিবি সদস্যরা টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেন। এসব ঘটনার ভিডিও অন্য শ্রমিকেরা ধারণ করছিলেন। এর বেশ কিছু সময় পর বিজিবি সদস্যরা ক্যাম্পে ফিরে যান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিলেট ৪৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ নাজমুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ভোলাগঞ্জ রেলওয়ে রজ্জুপথে হামলার ঘটনা নতুন নয়। আগেও একাধিকবার দুষ্কৃতকারীরা ভ্রাম্যমাণ আদালতসহ পুলিশ প্রশাসনের ওপর হামলা চালিয়েছে। তিনি বলেন, সেখানে টাকাপয়সা লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে তদন্ত করা হচ্ছে। পাশাপাশি এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের নাম ভাঙিয়ে অনেকেই টাকাপয়সা তোলেন। কিন্তু বিষয়টি বিজিবি কিংবা অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অগোচরে হয়ে থাকে। এসব ঘটনার সঙ্গে বিজিবি কিংবা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জড়িত থাকেন না।
প্রসঙ্গত, সর্বশেষ গতকাল বিকেলে ভোলাগঞ্জ ১০ ঘাট এবং ধলাই নদে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানকালে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করে মামলা করা হয়েছে।