শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
The Daily Ittefaq

ডিবি ও সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ, গ্রেপ্তার ৪

আপডেট : ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৮:০৯

খুলনায় ডিবি পুলিশ ও ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজির সময় চার যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাতে নগরীর বয়রা আজিজের মোড় এলাকার পুলিশের সাবেক ইন্সপেক্টর মাহফুজের বাড়ির ভাড়াটিয়া মো. ইফতেয়ার উদ্দীন সুমন ঢালীর বাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।  

গ্রেপ্তাররা হলেন—নগরীর বাগমার এলাকার মো. আব্দুল হামিদ সরদারের ছেলে সরকারি সিটি কলেজের প্রাক্তন ছাত্র মো. মাসুদ রানা, মিস্ত্রিপাড়া এলাকার আব্দুস সামাদ গাইনের ছেলে বাগেরহাট সরকারি পিসি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মো. ফয়সাল মাহমুদ, টুটপাড়া মহিরবাড়ি ছোট খালপাড় এলাকার কামরুল ইসলামের ছেলে সরকারি সুন্দরবন আদর্শ কলেজের অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্র মো. সালাউদ্দিন এবং শেরে বাংলা আমতলা এলাকার ইউসুফ আলীর ছেলে ও একই কলেজের ছাত্র রিফাত পারভেজ রাফি। 

ভুক্তভোগী ভাড়াটিয়া মো. ইফতেয়ার উদ্দীন সুমন ঢালী জানান, তিনি অনলাইনে ক্রিপ্টো কারেন্সির ব্যবসা করেন। বৃহস্পতিবার রাতে চারজন প্রথমে ডিবি পরিচয় দিয়ে তার ঘরে ঢোকে। এরপর একটি ঘরে তাকে আটকে মারধর করতে থাকে এবং অনলাইনে জুয়ার কারবারি হিসেবে ধরিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ২ লাখ টাকা দাবি করে। এ সময় ঐ চারজন নিজেদের ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয় দেন।

তিনি বলেন, টাকা দিতে না পারায় আলমারি থেকে আমার স্ত্রীর স্বর্ণালংকার নিয়ে নেয়। তবে চিৎকার শুনে লোকজন চলে আসলে আমি বেঁচে যাই।   

স্থানীয়রা জানান, পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা মাহফুজ আহমেদের বাড়িতে অনলাইনে জুয়া খেলা হচ্ছে—এমন অভিযোগে চার যুবক সেখানে প্রবেশ করে। কিছু সময় পর মারধরের শব্দ পেয়ে আমরা বাড়িতে প্রবেশ করি। তখন ভাড়াটিয়ার কাছে অভিযোগ শুনে ঐ চারজনকে আটকে রেখে পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে খবর দিই।

কেএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার (দক্ষিণ) হুমায়ুন কবির বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা বাড়ির লোকদের জিম্মি করে স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়। পরবর্তীতে তারা ভাড়াটিয়া সুমনের কাছে আরও ২ লাখ টাকা দাবি করে। দাবিকৃত টাকা না দেওয়ায় তাদের মারপিট করে। এ সময়ে ভুক্তভোগীর চিৎকার শুনে এলাকার মানুষ জড়ো হয়ে তাদের আটক করে পুলিশে খবর দেয়। তারা নিজেদের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পরিচয় দিতে থাকে। এক সময়ে নিজেদের সমন্বয়কের পরিচয় দেয়। তাদের পরিচয় শনাক্ত হওয়ার পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে থানায় নেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে নগরীর সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মিজানুর রহমান বলেন, গ্রেপ্তারকৃত চারজনের বিরুদ্ধে সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা হয়েছে। শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ইত্তেফাক/এসএএস