ইতালির রাজধানী রোমে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিতীয় দফার 'পরোক্ষ আলোচনা' শুরু হয়েছে। ইরনা জানিয়েছে, এই আলোচনায় ইরানের বেসামরিক পারমাণবিক কর্মসূচি এবং দেশটির বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার নিয়ে আলোচনা হবে।
এর আগে, ইতালিতে অবস্থিত ওমান দূতাবাস আয়োজিত দ্বিতীয় দফার আলোচনার জন্য শনিবার (১৯ এপ্রিল) ভোরে রোমে পৌঁছান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি।
রোমে তেহরান-ওয়াশিংটন পরোক্ষ আলোচনার ফাঁকে ইরানের আব্বাস আরাঘচি ইতালীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও সাক্ষাত করেছেন। সাক্ষাতকালে আরাঘচি সকল পক্ষের এই 'সুযোগের সদ্ব্যবহার' করার প্রয়োজনীয়তার কথা স্মরণ করিয়ে দেন, যাতে তারা একটি যৌক্তিক এবং যুক্তিসঙ্গত বোঝাপড়ায় পৌঁছাতে পারে।
তিনি উল্লেখ করেন, ইরানের বৈধ অধিকারকে সম্মান করার এবং নিপীড়ক ও অবৈধ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার পাশাপাশি, স্বেচ্ছাসেবী আস্থা তৈরির মাধ্যমে ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পর্কে যে কোনো সন্দেহ দূর করা সম্ভব।
ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির শান্তিপূর্ণ প্রকৃতির ওপর জোর দিয়ে আরাঘচি বলেন, ইরানিদের ধর্মীয় ও জাতীয় মূল্যবোধ এবং ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রতিরক্ষা মতবাদ অনুসারে গণবিধ্বংসী অস্ত্র প্রত্যাখ্যান করা হয়। পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত মধ্যপ্রাচ্য অর্জনের পথে ইহুদিবাদী শাসনব্যবস্থাই একমাত্র বাধা।
তিনি বলেন, ইসরায়েলি সরকার গণহত্যা, আইন লঙ্ঘন এবং আঞ্চলিক দেশগুলোর বিরুদ্ধে আগ্রাসনের মাধ্যমে ইরানোফোবিয়াকে ইন্ধন জোগাতে এবং মধ্যপ্রাচ্যে নিরাপত্তাহীনতা বাড়াতে চাইছে। ইউরোপ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরোপিত 'স্টেরিওটাইপ' (গতবাধা ধারণা) থেকে দূরে সরে একটি দায়িত্বশীল অবস্থান গ্রহণ করতে হবে।
ইতালীয় শীর্ষ কূটনীতিক ইরান ও ইতালির মধ্যে সম্পর্কের দীর্ঘ ইতিহাসের কথাও স্মরণ করেন, দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারে ইতালির আগ্রহের কথা স্মরণ করিয়ে দেন। তিনি ইরান-মার্কিন আলোচনার সাফল্যের জন্য প্রয়োজনীয় যে কোনো সহায়তা প্রদানের জন্য দেশটির দৃঢ় সংকল্পের ওপরেও জোর দেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ১২ এপ্রিল ওমানে ইরানি ও আমেরিকান প্রতিনিধিদলের প্রথম দফা আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।