মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২
The Daily Ittefaq

ইউপিডিএফের গোপন আস্তানার সন্ধান, গুলিসহ মালামাল উদ্ধার

আপডেট : ২১ এপ্রিল ২০২৫, ১৪:০৭

খাগড়াছড়িতে অপহৃত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীর উদ্ধারে পরিচালিত যৌথবাহিনীর টানা অভিযানে ইউপিডিএফের একটি গোপন আস্তানার সন্ধান মিলেছে। এতে চাঁদা আদায়ের রশিদ, ল্যাপটপ, মোবাইল, সামরিক ইউনিফর্মসহ বিপুল পরিমাণ প্রশিক্ষণ সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

সোমবার (২১ এপ্রিল) ভোরে খাগড়াছড়ি জেলা সদরের ভাই-বোনছড়ার পূর্ণ চন্দ্র কারবারিপাড়া এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। তবে এ সময় কাউকে আটক করতে পারেনি যৌথ বাহিনী।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার ভোর ৫টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যৌথ বাহিনী ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইউপিডিএফ এর গোপন আস্তানার সন্ধান পায়। সংগঠনটির সশস্ত্রগ্রুপ ওই দুর্গম এলাকায় একটি টিনেসড ঘরে গোপন আস্তানা গড়ে তুলেছে।  যৌথবাহিনী তালাবন্ধ ঘরের তালা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে তল্লাশি চালিয়েছে। দুর্গম এলাকার এ গোপন আস্তানা থেকেই  ইউপিডিএফ তাদের চাঁদাবাজি, অপহরণসহ সকল সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতো বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে সন্ত্রাসীরা টের পেয়ে আস্তানা ছেড়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। 

পুলিশ আরও জানায়, তল্লাশি চালিয়ে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত ৩ জোড়া পোশাক ও ১৯ টি ইউনিফর্মের প্যান্ট, পিস্তলের গুলি, ১টি ল্যাপটপ, কয়েকটি ওয়াকি-টকি সেট, ২টি মোবাইল ফোন, ১ টি মাইক্রোফোন, ১টি ক্যামেরা, ১টি প্রিন্টার, সেলাই মেশিন, তাঁবু, নেট, জিম্মি ধরে রাখার লোহার চেইন, ক্যাপ, খাবারের তৈজসপত্র ও খাবারের কাঁচামাল, প্রোপাগান্ডা সামগ্রী, সন্ত্রাসীদের চাঁদা আদায়ের রশিদসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। 

নিরাপত্তা বাহিনীর এক কর্মকর্তা জানান, অপহৃত শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে প্রয়োজনে প্রত্যেকটি এলাকায় ইঞ্চি ইঞ্চি করে তল্লাশি করা হবে এবং উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। 

এর আগে, বুধবার (১৬ এপ্রিল) সকালে বিঝু উৎসব শেষে খাগড়াছড়ি থেকে চট্টগ্রামে ফেরার পথে চবির পাঁচ শিক্ষার্থীকে অস্ত্রের মুখে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় শুরু থেকেই ইউপিডিএফ'র প্রসীত গ্রুপকে দায়ী করে আসছে সন্তু লারমা সমর্থিত জেএসএস'র ছাত্র সংগঠন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ পিসিপি। তবে ইউপিডিএফের জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

ইত্তেফাক/এনটিএম/এএইচপি