কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলায় অধিকাংশ সরকারি অফিসের বাহিরে টাঙ্গানো নেই সিটিজেন চার্টার (সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি)। এখানে সেবা নিতে এসে গ্রাহকরা পড়ছেন বিড়ম্বনায়। কাঙ্ক্ষিত সেবা পেতে ছুটছেন এদিক ওদিক। কর্তৃপক্ষের অবহেলায় এমন বিড়ম্বনায় পড়ার অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, খোদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়, উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) কর্মকর্তার কার্যালয়সহ উপজেলা পরিষদের অধিকাংশ সরকারি অফিসে সিটিজেন চার্টার নেই। সেবাপ্রার্থীরা এখানে এসে রীতিমত বিড়ম্বনায় পড়েন। কোথায় কোন সেবা, দপ্তরগুলোর সামনে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ না থাকায় কাঙ্ক্ষিত সেবা পেতে এখানকার নাগরিকদের দ্বারস্থ হতে হয় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিকট। এখানে বিভিন্ন দপ্তরে নিয়োজিত কর্মকর্তারা সরকারের এই নির্দেশনা মানতে উদাসীন। এদিকে সিটিজেন চার্টার টাঙ্গানো না থাকায় হয়রানির শিকার হচ্ছেন এসব অফিসে সেবা নিতে আসা লোকজন।
উপজেলা পরিষদে সেবা নিতে এসে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অন্তত পাঁচজন সেবাপ্রার্থীর সাথে কথা হলে তারা অভিযোগ করে বলেন, উপজেলার বেশিরভাগ দপ্তরের সামনে সিটিজেন চার্টার নেই। কোথায় কোন সেবা, সে সম্পর্কে আমরা অবগত না থাকায় উপজেলা পরিষদে এসে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। এতে সরকারের দেওয়া সেবা প্রতিশ্রুতি থেকে বঞ্চিত হওয়ার কথা জানান তারা।
জানা যায়, সরকারের তৃণমূলে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় প্রতিটি সরকারি অফিসের মুল ফটকে সিটিজেন চার্টার টানানোর নির্দেশনা রয়েছে। এতে উল্লেখ থাকে সেবার নাম, প্রয়োজনীয় সময় ও কাগজপত্র, সেবা প্রাপ্তির কক্ষ ও কর্মকর্তা এবং সেবার ফি। তাছাড়া যথাযথভাবে সেবা না পেলে তার প্রতিকারের জন্য কোথায় কি প্রক্রিয়ায় অভিযোগ দাখিল করবেন তার বিস্তারিত বিবরণ লিপিবদ্ধ থাকে এ চার্টারে। এখানে অধিকাংশ দপ্তরে এসবের সবই অনুপস্থিত।
এ বিষয়ে কথা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহরিয়া ইসলাম বলেন, উপজেলা পরিষদের অভ্যন্তরে দৃশ্যমান জায়গায় একটি বিলবোর্ডে সিটিজেন চার্টার টাঙ্গানো ছিল। ৫ আগস্টের সময় এটি ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) এ নিয়ে কাজ করছেন। কবে নাগাদ সেখানে সিটিজেন চার্টার লাগানো হবে এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন প্রিন্ট হলেই ঐ বিলবোর্ডে সিটিজেন চার্টার লাগানো হবে।