সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
The Daily Ittefaq

স্ত্রীর লাশ সেফটিক ট্যাঙ্কে লুকিয়ে ছেলেকে নিয়ে খোঁজাখুঁজি করেন ইমাম

আপডেট : ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৫৯

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে স্ত্রীকে হত্যা পর সেফটিক ট্যাঙ্কে মরদেহ গুমের পর খোঁজাখুঁজি করেন স্থানীয় একটি মসজিদের ইমামের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আবদুল মমিন নামের ওই ইমামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সবশেষ ঘটনার দায় স্বীকার করে আবদুল মমিন জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) চৌদ্দগ্রাম থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ।

পুলিশ জানায়, গত ৩ ফেব্রুয়ারি ভোর রাতে উপজেলার ধনুসাড়া গ্রামে স্ত্রীর লাশটি কাঁধে করে নিয়ে বাড়ির একটি সেপটিক ট্যাঙ্কের ভেতর গুম করে। এরপর  গোসল করে ফজরের নামাজের ইমামতি করেন তিনি। মূলত প্রায় ১৩০ বছর বয়সী মায়ের সঙ্গে আবদুল মমিনের  স্ত্রী সাহিদা বেগম (৬০) দুর্ব্যবহার করায় রাগান্বিত হয়ে এমন কাণ্ড ঘটান তিনি।

পুলিশকে গ্রেপ্তার ইমাম পুলিশকে জানান, হত্যাকাণ্ডের রাতে মমিন তার স্ত্রী সাহিদা বেগমকে মায়ের সঙ্গে খারাপ আচরণের কথা জিজ্ঞাসা করেন। এতে সাহিদা বেগম গালমন্দ শুরু করেন। মমিন বিরক্ত হয়ে বালিশ চাপা দিয়ে তার স্ত্রীকে হত্যা করেন। পরে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে স্ত্রীর লাশ কাঁধে করে বাড়ির পাশে সেপটিক ট্যাঙ্কের ভেতরে রেখে ঢাকনা লাগিয়ে দেন। 

পরে গোসল করে ভোর ৫টায় আবদুল মমিন মসজিদে চলে যান। সেখান থেকে এসে ছেলেকে ফোন করে তার মাকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান। পরে ওইদিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে লাশটি খুঁজে পাওয়া যায়।  তবে লাশ খোঁজার সময় আবদুল মমিন সবার সঙ্গেই ছিলেন। তাই তাকে কেউ সন্দেহ করেনি। এ ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে একটি মামলা করেন তার ছেলে মাছুম বিল্লাহ। এতে তার বাবা আবদুল মমিনকে প্রধান সাক্ষী করা হয়।

ওসি মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৭ মার্চ আবদুল মমিনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়। রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আবদুল মমিন তার স্ত্রী সাহিদা বেগমকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। তিনি আদালতেও জবানবন্দি দিয়েছেন।

ইত্তেফাক/এপি