মাগুরার আলোচিত সেই ৮ বছর বয়সী শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এ সময় আদালতে উপস্থিত হয়ে সাক্ষ্য দেন মামলার বাদী শিশুটির মা, প্রতিবেশী জলি খাতুন ও শিশুটিকে বহনকারী ভ্যানচালক রুবেল হোসেন।
রোববার (২৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
তবে মাগুরা লিগ্যাল এইডের পক্ষ থেকে আইনজীবী সোহেল আহম্মেদকে আসামিপক্ষের আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ পেতে দেখা যায়। এতদিন আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। এ মামলার পরবর্তীতে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন সোমবার ধার্য করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মনিরুল ইসলাম মুকুল বলেন, মাগুরার আলোচিত হত্যা মামলাটির আজ সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। আদালত তিনজন সাক্ষীকে তলব করেছিলেন। বাদীসহ তিনজন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন। বিচারক সাক্ষীদের সাক্ষ্য এবং আসামিপক্ষের আইনজীবীর জেরা শোনেন। আগামীকাল এ মামলার ৩, ৪, ৫ নম্বর সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ হবে।
তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী নিজের নিরাপত্তার স্বার্থে সাংবাদিকদের কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
অন্যদিকে সাক্ষ্য শেষে শিশুটির মা ও মামলার বাদী বলেন, আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। তাদের জন্য আমার পরিবার শেষ হয়ে গেছে।
প্রসঙ্গত, শ্রীপুর উপজেলার আট বছরের শিশুটি ১ মার্চ মাগুরা শহরতলীর নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বড় বোনের বাড়ি বেড়াতে আসে। সেখানে গত ৬ মার্চ সে ধর্ষণের শিকার হয়। প্রথমে তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যার হাসপাতাল, পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠানো হয়। সবশেষ চিকিৎসারত অবস্থায় ১৩ মার্চ ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) শিশুটি মারা যায়। এ ঘটনায় শিশুটির মা মাগুরা সদর থানায় মেয়ের শ্বশুর হিটু শেখ, জামাই সজীব শেখ, তার ভাই রাতুল শেখ ও তাদের মা রোকেয়া বেগমের নামে মামলা করেন। পুলিশ চার আসামিকে গ্রেপ্তার করে। সেদিন সন্ধ্যায় শিশুটির মরদেহ হেলিকপ্টারে করে মাগুরায় নেওয়া হয়। মাগুরা শহরের নোমানী ময়দানে প্রথম জানাজা ও পরে শ্রীপুর উপজেলার সব্দালপুর ইউনিয়নের সোনাইকুন্ডী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে দ্বিতীয় জানাজা শেষে স্থানীয় সোনাইকুন্ডী গোরস্থানে মরদেহ দাফন করা হয়।