বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
The Daily Ittefaq

নিহত বেড়ে ৪০, আহত ১২০০

‘ইরানে ভয়াবহ বিস্ফোরণের নেপথ্যে ইসরায়েল’  

আপডেট : ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১১:০৫

ইরানের বন্দর আব্বাসের শহিদ রাজি বন্দরে গত শনিবার ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে এখন পর্যন্ত নিহত বেড়ে ৪০ জনে দাঁড়িয়েছে। সেইসঙ্গে আহতের সংখ্যা এক হাজার ২০০ ছাড়িয়েছে। খবর ইরান ইন্টারন্যাশনালের। 

এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে দেশটির একজন সংসদ সদস্য। তেহরানের এমপি মোহাম্মদ সেরাজ বলেছেন, এই প্রাণঘাতী বিস্ফোরণের পরিকল্পনা ইসরায়েলের।

তিনি দাবি করেছেন, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে কনটেইনারে বিস্ফোরণ রাখা হয়েছিল এবং দূর থেকে সম্ভবত স্যাটেলাইট বা টাইমারের মাধ্যমে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। 

এই বিস্ফোরণ কোনো দুর্ঘটনা নয় বলেও দাবি ইরানের এই পার্লামেন্ট সদস্যের। 

দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ছোট একটি আগুন থেকেই এই বিস্ফোরণ হয়েছে। তবে ঠিক কোথায় থেকে আগুনের এই সূত্রপাত হয়েছে তা এখনো পরিষ্কার নয় বলে জানান তিনি। 

ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইস্কান্দর মোমেনি বলেন, শনিবার দুপুর ১২টা ৪ মিনিটে ছোট একটি আগুন দেখা যায়, তবে এই আগুনের কারণ এখনও জানা যায়নি। এক মিনিটের কম সময়ের মধ্যে ধোঁয়া এবং আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং আশেপাশের কনটেইনারে পৌঁছায় এবং বিস্ফোরণ ঘটে। 

তবে দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার মুখপাত্র হোসেন জাফারি জানিয়েছেন, নাশকতার আলামত পাওয়া যায়নি। তিনি বার্তাসংস্থা আইএলএনএ-কে জানিয়েছেন, কনটেইনারের ভেতর থাকা রাসায়নিক বস্তুর কারণে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। 

তিনি বলেন, বিষাক্ত ধোঁয়ার কারণে সেখানে উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে। আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসার পর প্রকৃত হতাহতের তথ্য জানা যাবে। তিনি জানান, বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই শক্তিশালী ছিল যে, এটি প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূর থেকেও তা অনুভূত হয়েছে। 

এদিকে ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউটের সিনিয়র প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক ফারজিন নাদিমি বলেছেন, নাশকতার হয়নি-এমন তথ্য এখনো উড়িয়ে দেওয়া যায় না। 

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিস্ফোরণে আশেপাশের ভবনের ছাদ, জানালা উড়ে গেছে। পুড়ে গেছে গাড়ি। ঘটনাস্থল থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরের বাসিন্দারাও এই বিস্ফোরণের আঁচ পেয়েছেন।  

ইরানি বার্তাসংস্থা ইরনা দেশটির সরকারি সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, এটি ইরানের সবচেয়ে আধুনিক সামুদ্রিক বন্দর, যা হরমুজগানের প্রাদেশিক রাজধানী বন্দর আব্বাস থেকে ২৩ কিলোমিটার পূর্বে এবং হরমুজ প্রণালির উত্তর দিকে অবস্থিত। যেখান দিয়ে পৃথিবীর মোট উৎপাদিত তেলের পাঁচ ভাগের এক ভাগ পরিবহন করা হয়।  

ইত্তেফাক/এসআর