মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২
The Daily Ittefaq

আলোচিত শিশু আছিয়া হত্যা মামলায় আরও তিন জনের সাক্ষ্য গ্রহণ

আপডেট : ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫:০১

মাগুরায় আলোচিত শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। গতকালের পর সোমবার (২৮ এপ্রিল) আরও ৩ জনসহ এই নিয়ে মামলার ৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করলেন আদালত।

এদিন নিহত আছিয়ার চাচা ইব্রাহিম শেখ, প্রতিবেশী হযরত ও মাদ্রাসা শিক্ষক দোলোয়ার হোসেন সাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরা অনুষ্ঠিত হয়। আসামী পক্ষের আইনজীবী হিসেবে সাক্ষীদের জেরা করেন অ্যাডভোকেট সোহেল আহম্মেদ। 

আগামীকাল মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) পরবর্তী মামলার সাক্ষীর দিন ধার্য্য হয়েছে। এই দিন তিনজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে। সকাল ১০ টায় মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালর জজ  (জেলা ও দায়রা জজ) এম জাহিদ হাসান এর আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হবে। মাগুরার  নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম মুকুল বাদীর পক্ষে জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এরপর আসামী পক্ষের উকিল  অ্যাডভোকেট সোহেল আহম্মেদকে সাক্ষীদের জেরা করেন। 

সাক্ষ্য গ্রহণের পর আসামী রাতুল শেখ আদালতের অনুমতি নিয়ে বলেন, তারা কোন অপরাধ করেননি। তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। 

৩৬ জন সাক্ষী ও একজন তদন্ত কর্মকর্তার মোট ৩৭ জনের সাক্ষী প্রতিদিন ৩ জন করে সাক্ষ্য গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সাক্ষ্য গ্রহণের সময় আসামী নিহত আছিয়ার দুলাভাই সজিব শেখ, সজিবের তার বড় ভাই রাতুল শেখ, সজিব শেখের বাবা হিটু শেখ এবং সজিবের মা জাহেদা খাতুন কাঠ গড়ায় উপস্থিত ছিলেন। 

নিহত আছিয়ার মা আয়েশা বেগম বাদী হয়ে ৪ জন আসামী করে মাগুরা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। আসামীরা হলেন শিশুটির দুলাভাই সজিব শেখ, সজিবের বড় ভাই রাতুল শেখ, সজিব শেখের বাবা হিটু শেখ এবং সজিবের মা জাহেদা খাতুন। ইতিমধ্যে হিটু শেখ ১৬৪ ধারা ম্যাজিস্ট্রেটের কাজে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

উল্লেখ্য মাগুরার শ্রীপুরের জারিয়া গ্রামের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী ৮ বছরের শিশু কন্যা আছিয়া মাগুরা শহরতলীর নিজনান্দুয়ালী মাঠ পাড়া গ্রামে বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসে  ধর্ষিত হয়। তাকে প্রথমে মাগুরা ২৫০  শয্যা সদর হাসপাতালে পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় ফদিরপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অবস্থা আরো অবনতি হলে পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে এবং সর্বশেষ  সিএমএইচ হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

ইত্তেফাক/এএইচপি