শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
The Daily Ittefaq

ভোলায় পরিবহন শ্রমিকদের দুই পক্ষের হাতাহাতি, সব রুটে চলাচল বন্ধ

আপডেট : ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫:৪৬

ভোলার চরফ্যাশনে যাত্রী ওঠানোকে কেন্দ্র করে বাস শ্রমিক ও সিএনজি অটোরিকশা চালকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনায় বাস শ্রমিকদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট চলছে। ভোলা-চরফ্যাশন রুটসহ ভোলা শহর থেকে সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন। একই সঙ্গে তারা সিএনজি চালিত অটোরিকশা চলাচলও বন্ধ করে দিয়েছে। এ কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকাল থেকে ভোলার বীরশ্রেষ্ট বাস টার্মনাল থেকে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার কোনো রুটেই বাস ছেড়ে যেতে দেখা যায়নি। রোববার সন্ধ্যা থেকে বাস ধর্মঘট শুরু হয়েছে।

এ কারণে আজ সকালে ভোলা-চরফ্যাশন (ভায়া দক্ষিণ আইচা), চরফ্যাশন-দক্ষিণ আইচা, ভোলা-তজুমদ্দিন, ভোলা-ইলিশা, ভোলা-দৌলতখান, ভোলা-বাবুরহাট এবং ভোলা-আঞ্জুরহাট রুটে বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করছে না।

ফলে ভোলা-চরফ্যাশন মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। টার্মিনালে এসে যাত্রীদের বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হয়েছে। কেউবা আবার বাধ্য হয়ে ছোট ছোট পরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছেন। কেউ কেউ আবার যানবাহন না পেয়ে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছেন।

বাসশ্রমিক ও সিএনজি চালিত অটোরিকশাচালকরা জানায়, গতকাল সন্ধ্যায় চরফ্যাশন বাজারে যানবাহনে যাত্রী তোলা নিয়ে বাসশ্রমিক ও অটোরিকশাচালকদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি, যাত্রী টানাহেঁচড়া, হাতাহাতির ঘটনায় মো. ইমন নামের এক অটোরিকশাচালকের মাথায় আঘাত লাগে। বাসশ্রমিকদের অভিযোগ, অটোরিকশার চালকেরা আগে তাদের ওপর হামলা করেছেন। হাতাহাতি ও মারধরের ঘটনায় উভয় পক্ষের তিনজন আহত হন। এরপর বাসশ্রমিকেরা সড়ক অবরোধ করে বাস চলাচল বন্ধ করে দেন।

ভোলা বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, শ্রমিকদের হামলার বিচার না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে। একই সঙ্গে মহাসড়কে সব ধরনের থ্রি হুইলার বন্ধ করতে হবে।

ভোলা সিএন‌জি মা‌লিক স‌মি‌তির সভাপ‌তি মো. জা‌কির হোসেন জানান, রোববার চরফ‌্যাশনে বাস ও সিএন‌জি শ্রমিকদের মধ্যে হাতাহা‌তি হয়। এতে সিএন‌জির শ্রমিক আহত হয়েছেন। তবে বাস শ্রমিকরা ধর্মঘটের ডাক দিলেও তাদের পক্ষ থেকে কোনো কর্মসূচি দেওয়া হয়নি।

বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাসস্ট্যান্ডের ডিপো কর্মকর্তা অসীম দত্ত বলেন, বাস শ্রমিকরা ধর্মঘট ডেকেছে এবং তারা বলেছে তাদের ওপর হামলার বিচার না হওয়া পর্যন্ত তারা বাস চালাবেন না। শ্রমিকরা ধর্মঘট তুলে নিলে বাস চলাচল স্বাভাবিক হবে।

ইত্তেফাক/এমএএস