শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
The Daily Ittefaq

গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা, বাড়ি ভাঙচুর করলো বিক্ষুব্ধ জনতা

আপডেট : ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৫:০০

যশোরের মনিরামপুর উপজেলার দূরবাডাঙ্গা ইউনিয়নের খাটুয়া ডাঙ্গা গ্রাম থেকে এক গৃহবধূর গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার খাটুয়াডাঙ্গা আফতাব মুন্সি মোড়ের একটি চাতালঘর থেকে তার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে মনিরামপুর থানা-পুলিশ।

ওই গৃহবধূর নাম স্বরূপজান ওরফে সাথী (৩০)। সে খাটুয়াডাঙ্গা গ্রামের আব্দুর রশিদ মিন্টুর তৃতীয় স্ত্রী তিনি চাতালের শ্রমিকের কাজ করতেন। 

এই ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী আব্দুর রশিদের ধানের চাতাল,  রাইসমিল ও বাড়িঘর ভাঙচুর করে বাড়ির আসবাবপত্র লুট করে নিয়ে যায়। 

স্থানীয় জনতা  ও পুলিশ জানায়, মনিরামপুর উপজেলার খাটুয়াডাঙ্গা গ্রামের মুন্সি মোড় এলাকায় আব্দুর রশিদ মিন্টুর ধানের চাতালের একটি ঘরে  তারা থাকতেন। সোমবার সকালে কয়েকজন কল শ্রমিক এসে তার রক্তাক্ত মরা দেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর মর্গে পাঠায়। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা চাতাল  ও চাল কল ভাঙচুর করে তার বাড়ির আসবাবপত্র লুট করে নিয়ে যায়। 

আব্দুর রশিদ মিন্টু এক সময় অস্ত্র কেনাবেচার কাজ করত বেশ আগে তিনি অস্ত্রসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে এরপর ১০ বছর সাজা খেটে বেরিয়ে এসে সাথীকে বিয়ে করে। কিন্তু সেই বিয়ে মেনে নেয় নি তার প্রথম স্ত্রী সুমা। 

সাথী আক্তারের মা আনোয়ারা বেগম বলেন, সাথী আমার একমাত্র মেয়ে। চার মাস আগে তার বাপের জমি বেঁচে মিন্টুকে ৪ লাখ টাকা দিয়েছি। আরও ১ লাখ টাকা চেয়েছে সে। সেই টাকা না দেয়ায় মিন্টু আমার মেয়েকে খুন করেছে। 

পুলিশ জানায়, রোববার দিবাগত রাতে সাথীকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। তার গলা, মাথা এবং কপালে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। 

পুলিশ ও এলাকা বাসির ধারণা, স্বামী মিন্টু তাকে জবাই করে হত্যা করেছে। ঘটনার পর থেকে আব্দুর রশিদ মিন্টু ও তার প্রথম স্ত্রী পলাতক রয়েছে। 

ইত্তেফাক/এএইচপি