শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
The Daily Ittefaq

গ্যাস সিল্ডিন্ডার বিস্ফোরণে বড় বোনের মৃত্যু, মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে ছোট বোন

আপডেট : ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ২২:০৬

রংপুরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুইটি বেগম (২২) নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। একই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন তার ছোট বোন তাসফিয়া (১৯)। 

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুইটি বেগমের মৃত্যু হয়। এর আগে মঙ্গলবার সকালে রান্নার জন্য গ্যাস সিল্ডিন্ডারে আগুন ধরানোর সময় লিকেজ থাকায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে অগ্নিদগ্ধ হন দুই বোন। পরে গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় তাদের রংপুরে হাসপাতালে আনা হয়।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের প্রধান ডা. শাহীন শাহ।

জানা গেছে, সুইটি ও তাসফিয়া নীলফামারী ডোমার উপজেলার বাবলু ইসলামের মেয়ে। এদের মধ্যে সুইটি নীলফামারী মহিলা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এবং তাসফিয়া ডোমার সরকারি মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তারা নীলফামীর ইপিজেড মোড়ে  রেজাউল করিমের বাসায় ভাড়া থাকতেন। সেখান থেকে তারা ইপিজেডের একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করে পড়ালেখা করতেন। প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার সকালে চুলা জ্বালাতে গিয়ে গ্যাস সিল্ডিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে এ দুর্ঘটনার সূত্রপাত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। সবশেষ দুপুর ২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুইটির মৃত্যু হয়। 

অন্যদিকে বেলা ১২ টার দিকে  নীলফামারীর ইপিজেড এলাকায় ‘সনি বিডি লিমিটেডে’ নামের একটি কারখানার ভেতরে মেশিনের বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে ওই কারখানার কর্মচারী লিটন চন্দ্র রায় ও রবিউল ইসলাম দগ্ধ হন। তাদেরকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।  

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারী বিভাগের প্রধান ডা. শাহীন শাহ জানান, সকাল সোয়া ৯টার দিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুই বোনকে আনা হয়েছিল। এর মধ্যে সুইটি বেগম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।  তার শরীর  শতভাগ দগ্ধ হয়েছিল। তার ছোটবোন তায়ফিয়াও শতভাগ দগ্ধ হয়েছেন। তার অবস্থা সংকটাপন্ন। এছাড়াও অপর দুর্ঘটনায় দগ্ধ লিটন ও রবিউলের শরীরের ৩০ শতাংশ পুড়ে গেছে।

ইত্তেফাক/এপি