সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২
The Daily Ittefaq

‘একনা চালা আছিল তাও উড়ে গেলো কালবৈশাখী ঝড়ে’

আপডেট : ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫৭

ফরিদার একমাত্র সম্বল ১০ হাতের টিনের চালের ঘরটি উড়ে গেছে কালবৈশাখী ঝড়ে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাতে কালবৈশাখী ঝড়ে উড়ে গেছে তার নড়বড়ে টিনের চালের ঘরটি। চার দিনেও মেরামত করতে না পারায় ফরিদা সন্তানদের নিয়ে থাকছে অন্যের বাড়িতে।

জানা যায়, উপজেলার গজঘন্টা ইউনিয়নের তিস্তা তীরবর্তী গাউছিয়া বাজার এলাকার মমিনুর ইসলামের স্ত্রী ফরিদা বেগম। স্বামী মমিনুর একজন দিনমজুর। একদিন কাজ হয়তো তিনদিন নেই। সব সময় কাজও হয়না। তাছাড়া গ্রামে লোকজনের আর্থিক অবস্থাও খুব খারাপ।

ফরিদার সংসারে ২ ছেলে, মোবাশ্বের (৪) ও রহমতঊল্লাহ (২)। বাড়িতে নড়বড়ে ১০ হাতের একটি ঘর। রান্না-বান্না করে খোলা আকাশের নীচে। ঘরে রয়েছে ভাঙ্গা একটা চৌকি তাও নড়বড়ে। আর আছে ছেড়া কাঁথা আর বালিশ। ঘরে মানুষের দাড়ানোর মত জায়গা নেই। স্বামী মমিনুর কাজের জন্য কুমিল্লা গেছে। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফরিদার সেই টিনের চালের ঘরটি উড়ে গেছে। খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে ফরিদা ও তার দুই সন্তান। রাত হলে দুই সন্তানকে নিয়ে অন্যের বাড়িতে থাকছে। 

ফরিদা বলেন, তার স্বামী কয়দিন আগে কাজের জন্য কুমিল্লা গেছে। কায় হামার চালা ভাল করি দেয়। 

স্থানীয় লোকজন বলেন, খুব কষ্টে চলে ওদের সংসার। একনা চালা ছিল তাও উড়ে গেল।

ইত্তেফাক/আরআই/এএইচপি