দুর্বৃত্তদের আগুনে পুড়ে যাওয়ার সাড়ে ৯মাস পর নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে কাজ শুরু হয়েছে। রোববার (৪ মে) সকালে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা পাসপোর্ট অফিসের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
গত বছরের ১৯ জুলাই সন্ধ্যায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে ভস্মীভূত হয় পাসপোর্ট অফিসটি। এতে পাঁচ হাজার পাসপোর্ট পুড়ে নষ্ট হয়ে যায়।
এদিকে কার্যক্রম শুরুর পর রবিবার সকাল থেকেই সেবা প্রত্যাশীদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। কার্যক্রম শুরুর আগ পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলার ৫ উপজেলাবাসীকে ৩ ভাগে বিভক্ত হয়ে কেরানীগঞ্জ, নরসিংদী ও মুন্সীগঞ্জে গিয়ে পাসপোর্টের কাজ করতে হতো।
এদিকে পাসপোর্ট অফিসের কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আমরা চাই পাসপোর্ট অফিসটি দালালমুক্ত থাকুক। কেউ যেন হয়রানির শিকার না হন। সেবা প্রত্যাশীরা যাতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সেবা পান, সেটি নিশ্চিত করতে হবে।
রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট ইস্যু প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক বলেন, বাংলাদেশি না হয়েও কেউ যদি পাসপোর্ট নেওয়ার চেষ্টা করে বা এমন অভিযোগ আসে, তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি দালাল নির্মূলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার কথাও জানান তিনি।
নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক মো. জামাল হোসেন বলেন, দীর্ঘ সাড়ে ৯ মাস পর পাসপোর্ট অফিসের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আগুনে পুড়ে যাওয়া পাসপোর্ট গুলোর মধ্যে যেগুলো অক্ষত ছিল, সেগুলো আগারগাঁও থেকে আমাদের কাছে এসে পৌঁছেছে। কেউ যদি তার পুরনো পাসপোর্ট না পেয়ে থাকেন, তাহলে নারায়ণগঞ্জ অফিস কিংবা আগারগাঁও অফিসে যোগাযোগ করলে তা সংগ্রহ করতে পারবেন।