কুড়িগ্রামের উলিপুরে দিনমজুর পরিবারের আলীম ক্লাসের শিক্ষার্থী লিমা আক্তার (১৮) এর দুটি কিডনি অকেজো হয়ে গেছে। পরিবারের স্বপ্ন ছিল লেখাপড়া করে দরিদ্র পরিবারের দুঃখ ঘুচাবে। সেই স্বপ্ন এখন বিষাদে ছেয়ে গেছে। পরিবারে নেমেছে ঘোর অন্ধকার। ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে এগুচ্ছে মেয়েটি। সে এখন বেঁচে থাকার আকুতি নিয়ে নীরবে চোখের পানি ফেলছে। সে ঐ এলাকার সাদুল্যা সরকারপাড়া মোস্তফাবিয়া কামিল মাদরসার আলিম প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
চিকিৎসক জানিয়েছেন, দ্রুত একটি কিডনি প্রতিস্থাপন করা না গেলে হয়তো বাঁচানো সম্ভব হবে না লিমাকে। তবে এতে দরকার বিপুল পরিমাণ অর্থ। দিনমজুর বাবার পক্ষে সে অর্থ ব্যয় করা একেবারে অসম্ভব। তাই সমাজের বিত্তবানদের সহানুভূতির দিকে তাকিয়ে আছে পরিবারটি।
লিমার বাবা আব্দুল লতিফ দিনমজুর। মা মাছুমা বেগম গৃহিনী। কয়েক বছর আগে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে সব হারিয়ে আশ্রয় নেন কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার মধ্য সাদুল্যা ফকিরপাড়া গ্রামে। এখন সহায় সম্বল বলতে তিন শতক বসতভিটা তার।
শারীরিক নানা সমস্যা দেখা দিলে গত ফেব্রুয়ারি মাসে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিয়ে গেলে পরীক্ষা-নিরীক্ষার ধরা পড়ে তার দুটি কিডনি বিকল। এরপর থেকে প্রতি সপ্তাহে দুইবার করে ডায়ালাইসিস করার পরামর্শ দেন চিকিৎসক। একবার ডায়ালাইসিসে খরচ হয় ১০ হাজার টাকা। দরিদ্র পরিবারটির পক্ষে ব্যয় বহন করা সম্ভব হচ্ছে না। চিকিৎসক জানিয়েছেন, দ্রুত কিডনি প্রতিস্থাপন করা না গেলে তাকে বাঁচানো সম্ভব নয়।
লিমার মা মাছুমা বেগম ও বাবা আব্দুল লতিফ জানান, খাওয়া দাওয়া ছেড়ে সারাদিন কান্নাকাটি করেন লিমা। সমাজের বিত্তবান মানুষ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে হয়তো বাঁচানো সম্ভব হবে হাসিখুশি মেধাবী লিমাকে।