সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসীরা। এ সময় বিক্ষোভকারীদের ওপর লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা।
রোববার (৪ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার কারেন্টের বাজার বোয়াল চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মফিজুর রহমানকে অপসারণের দাবিতে কারেন্টের বাজার বোয়াল চত্বরে মানববন্ধন আয়োজন করেন এলাকাবাসীরা। সেখানে বক্তারা অভিযোগ করে জানান, পতিত সরকারের আমলে পদায়ন পাওয়া ইউএনও মফিজুর রহমান বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার পর্যটনখাত ধ্বংস করে দিয়েছেন। বিভিন্ন অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারী ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন তিনি।
কারেন্টের বাজারে মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে যাওয়ার পথে মাল্টিপারপাস সেন্টারের সামনে আসলে তাতে বাধা দেয় স্থানীয় বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় তারা। পরে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এ সময় সাংবাদিকদের দিকে তেড়ে এসে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে হামলাকারীরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক রাজু আহমেদ বলেন, আওয়ামী লীগের দোসররা বিভিন্ন ছদ্মনামের ব্যানার নিয়ে উপজেলা সদরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। বিএনপি কর্মীরা তাতে বাধা দেয়। এ সময় হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার সময় উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়ক ছাড়া অন্য দলীয় নেতারা ছিলেন বলে জানান তিনি।
বিশ্বম্ভরপুর থানার ওসি মোখলেছুর রহমান বলেন, মানববন্ধন শেষে এলাকাবাসীরা যখন মিছিল নিয়ে উপজেলা পরিষদের সামনের দিকে যাচ্ছিলো তখন শুনেছি কে বা কারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। তখন দ’পক্ষের মাঝে সংঘর্ষ বাধে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। যারা হামলা চালিয়েছে তাদের ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করা হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মফিজুর রহমান বলেন, সীমান্তে চোরাচালান বিভিন্ন অভিযানের মাধ্যমে শূন্যের কোটায় নিয়ে এসেছি। সম্প্রতি উপজেলা মাল্টিপারপাস সেন্টার লিজ দেওয়া হয়েছে। যিনি সর্বোচ্চ দরদাতা হয়েছেন তিনি লিজ পেয়েছেন। এ নিয়ে সংক্ষুব্ধ কিছু ব্যক্তি লিজ না পেয়ে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করেছে।
