পাবনা জেলা বিএনপি সদস্য সচিব আইনজীবী মাসুদ খন্দকারের বাড়িতে গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ এবং নেতাকর্মীদের মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অন্তত ৬ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে।
সোমবার (৫ মে) রাতে শহরের রাঘপপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মাসুদ খন্দকারের দাবি, তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এই হামলা করা হয়েছে। তবে পুলিশ বলছে, দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দলে ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ককটেল বিস্ফোরণের আলামত পাওয়া গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রতিদিনের মতো সোমবার রাতেও মাসুদ খন্দকারের বাড়ির সামনে বেগম জিয়ার দেশে আসা নিয়ে দলীয় আলোচনা চলছিল। সেখানে শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। হঠাৎ ৮ থেকে ১০টি মোটরসাইকেলে করে একদল দুর্বৃত্ত এসে বাড়ির ভেতর ও বাইরে উপস্থিত নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি ও ককটেল ছোড়ে। হামলাকারীরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কয়েকজনকে মারধর করে এবং দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।
পরে নেতাকর্মীরা পাল্টা ধাওয়া দিলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় অন্তত ৬ জন নেতাকর্মী আহত হন। তাদের পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরপর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দেশে আসাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার আনন্দ র্যালী করার জন্য আলোচনা করতে মাসুদ খন্দকারের বাড়িতে নেতাকর্মীরা এসেছিলেন। এমন সময় দুর্বৃত্তরা এসে অতর্কিত হামলা করে। এতে ৫/৬ জন আহত হয়েছেন। বিএনপির কমিটি গঠন নিয়ে দলটির মধ্যে কিছুদিন ধরেই অভ্যন্তরীণ বিরোধ চলছিল। এ বিরোধের জেরেই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।