রোববার, ২৫ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
The Daily Ittefaq

স্বামীর মৃত্যুর ৭ বছরেও জোটেনি বিধবা ভাতার কার্ড

আপডেট : ০৬ মে ২০২৫, ১৭:১৭

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ৭ বছরেও বিধবা নারী মমেনা বেগম (৬০) ওরফে মালার ভাগ্যে জুটেনি একটি বিধবা ভাতার কার্ড। সহায় সম্বল বলতে কিছুই নেই তার। নেই ঘর বাড়িও। অন্যের বাড়ি বাড়ি রাত কাটে তার। 

মমেনা উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের গোমড়া গ্রামের দিনমজুর মরহুম ফজল হকের স্ত্রী। ৭ বছর আগেই মমেনা বেগমের স্বামীর মৃত্যু হয়। তার ৩ ছেলে বিয়ে করে আলাদা থাকেন। জীবিকা নির্বাহের তাগিদে একেক ছেলে দেশের একেক জায়গায় থাকেন। তাদের সংসারের অবস্থাও যেনো নুন আনতে পান্তা ফুরায়।  

দিনমজুরি করে চলতো মমেনা বেগমের সংসার। কিন্তু বয়সের ভারে মমেনা বেগম এখন আর মজুরিও খাটতে পারেন না। তবুও  থেমে নেই মমেনা বেগমের বেচে থাকার জীবন যুদ্ধ। একটি ঠেলা জাল নিয়ে বাড়ির সামন দিয়ে বয়ে যাওয়া মহারশি নদী থেকে মাছ ধরে স্থানীয়দের কাছে বিক্রি করে চলে তার সংসার জীবন। প্রতিদিন সকালে মমেনা বেগম ২/৩ ঘন্টা মাছ ধরে ৪০/৫০ টাকায় বিক্রি করেন তিনি। আর এ টাকায় কোন রকমে খেয়ে না খেয়ে অনাহারে মানবেতর  জীবনযাপন করে আসছেন। মমেনার ভাগ্যে জুটেনি গুচ্ছ গ্রামের একটি সরকারি ঘর অথবা বিধবা ভাতার কার্ডসহ কোন সাহায্য। 

মমেনা বেগম জানান, আজ পর্যন্ত কোনো স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে একটি চালের স্লিপ ও পাননি তিনি। অসুস্থ থাকলেও তাকে দেখার কেউ নেই।

এব্যাপারে নলকুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রুকুনুজ্জামানের সাথে কথা হলে তিনি মমেনা বেগমকে সরকারি সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন। 

ইত্তেফাক/এএইচপি