জার্মানির নতুন চ্যান্সেলর নির্বাচনের জন্য আয়োজিত পার্লামেন্ট ভোটে অপ্রত্যাশিতভাবে পরাজিত হয়েছেন রক্ষণশীল নেতা ফ্রিডরিখ মের্জ। ৬৩০ আসনের বুন্ডেস্ট্যাগে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে প্রয়োজন ছিল ৩১৬ ভোট, কিন্তু তিনি পেয়েছেন মাত্র ৩১০ ভোট। ফলে নির্বাচনের দুই মাস পরও জার্মানিতে সরকার গঠনে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
খ্রিস্টান ডেমোক্র্যাট ও মধ্য-বামপন্থী এসপিডির মধ্যে জোট থাকলেও, জোটের ভেতরকার অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণে অন্তত ১৮ জন এমপি সমর্থনে বিরত ছিলো বলে ধারণা করা হচ্ছে। আধুনিক জার্মান ইতিহাসে চ্যান্সেলর নির্বাচনে এ ধরনের ব্যর্থতা নজিরবিহীন।
দেশটির সংবিধান অনুযায়ী, এখন দ্বিতীয় দফা ভোটের জন্য ১৪ দিনের সময় রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে যদি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়া যায়, তবে সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে চ্যান্সেলর নির্বাচিত হতে পারবেন।
মের্জের পরাজয়কে রাজনৈতিক ভাষ্যকাররা অবিশ্বাস্য বলে আখ্যা দিয়েছেন। মের্জের ঘনিষ্ঠ সহকর্মীরা বলছেন, এটি দলটির জন্য কোনো বিপর্যয় নয় এবং তারা দ্বিতীয় দফায় ফের চেষ্টা করবেন। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, জোটের অভ্যন্তরীণ বিভক্তি সরকারের স্থায়িত্বে বড় প্রশ্ন তুলছে।
এদিকে, মের্জের ব্যর্থতাকে কেন্দ্র করে অতি-ডানপন্থী দল অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি দেশটিতে নতুন নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, অর্থনৈতিকভাবে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ালেও, জার্মান অর্থনীতিকে আরও চ্যালেঞ্জের মুখে ঠেলে দিচ্ছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য পরিবেশ ও অভ্যন্তরীণ দুর্বলতা।
সূত্র: বিবিসি