গাইবান্ধায় আবারো চালককে হত্যা করে ইজিবাইক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। দুর্বৃত্তরা চালককে চেতনা নাশক ওষুধ খাওয়ায়ে তার ব্যাটারি চালিত অটোইজিবাইকটি ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এতে চালক হামিম রহমান জীবন (১৭) মারা যায়।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের সামনে আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে তার সহপাঠী ও এলাকাবাসী।
এ ঘটনা ঘটেছে গত শনিবার গভীর রাতের জেলার সাঘাটা উপজেলায় বোনারপাড়া সরকারি কলেজ এলাকায় ।
নিহত হামিম রহমান জীবনের গাইবান্ধা সদর উপজেলার দক্ষিণ ধানগড়া গ্রামের আনতাজ আলীর ছেলে। সে গাইবান্ধা নিউটন প্রিপারেটরী বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল। দরিদ্র পরিবারে অর্থনৈতিক সহযোগিতার জন্য লেখাপড়ার পাশাপাশি সে ইজিবাইক চালাতেন।
এর আগে গত ২৫ এপ্রিল গাইবান্ধা শহরের জেলা স্টেডিয়াম সংলগ্ন সড়কে ছিনতাইকারীরা ছুরিকাঘাতে চালক আনিস মিয়া ওরফে ঠাণ্ডাকে হত্যা করে তার ইজিবাইক ছিনতাইকরে নিয়ে যায়।
পুলিশ ও স্বজনরা জানান, গত রোববার রাত সাড়ে নয়টার দিকে জেলা শহরের বাস টার্মিনাল এলাকায় কয়েকজন অপরিচিত দুর্বৃত্ত যাত্রী সেজে সদরের লক্ষীপুর বাজারে যাওয়ার কথা বলে জীবনের ইজিবাইকে ওঠে। এরপর জীবনকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরের দিন সোমবার সকালে ফেসবুকে স্বজনরা জানতে পারেন তার লাশ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পড়ে আছে। মর্গে গিয়ে জীবনের লাশ সনাক্ত করেন তার স্বজনরা।
সূত্রটি আরও জানান, পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে স্বজনরা জানতে পারেন, গত রোববার গভীর রাতে জেলার সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়া সরকারি কলেজ এলাকায় সড়কের পাশে জীবন অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে ছিল। পরে বোনারপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের একটি টিম অজ্ঞান অবস্থায় জীবনকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে সোমবার ভোরেই বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকালে জীবন মারা যায়।
এ ঘটনায় নিহত জীবনের বড় ভাই হামিদুর রহমান বাদি নিয়ে সাঘাটা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন সাঘাটা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মশিউর রহমান জানান, ছিনতাইকারীদের সনাক্ত ও গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।